মোটা টাকায় বাড়ি সামনে বেআইনিভাবে মদ পৌছে দিতে গিয়ে পুলিশে জালে চক্র। বিশেষ করে লকডাউনে শহরে গজিয়ে উঠেছে এরকমই বেআইনিভাবে মদ ডেলিভারির একাধিক চক্র। এবার আনন্দপুর থানার পুলিশ শুক্রবার নোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে একটি চক্রকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য়, সম্প্রতি তিলজলা থানার পুলিশ এরকমই একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছিল।
পুলিশি সূত্রে খবর, ধৃতরা সন্ধ্যের পর থেকে রাত অবধি মদের অর্ডার নিতে তারা। তারপর সকাল থেকে অর্ডার অনুযায়ী বাড়ির কাছে নিরাপদ স্থানে গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হত মদ। আনন্দপুর থানার অফিসার বলেন, 'বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করে প্রচুর টাকা রোজগার করেছে ধৃতরা। একসঙ্গে অনেক মদ ডেলিভারি করতে হতো বলে মোটা টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে নিয়েছিল।' একটি ভাড়া করা গাড়িতে করে নোনাডাঙ্গা এলাকায় মদ সরবরাহ করতে এসেছিল বিজয় সরদার এবং সুবল হালদার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ। গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয় ২৩ বোতল দেশী মদ এবং ২২ বোতল বিয়ার পাওয়া গিয়েছে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, মূলত দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকা যেমন গড়িয়া, আনন্দপুর, বাঁশদ্রোনি, সোনারপুর এলাকায় সারাবছরই বেআইনিভাবে মদের কারবার চালাত বিজয় ও সুবল। আর এবার লকডাউনে তা মাথায় ওঠে। সেজন্য লকডাউনে মদের দোকান বন্ধ হওয়ার আগেই বিপুল পরিমাণ মদ তারা স্টক করে নিয়েছিল নিজেদের কাছে। লকডাউন মদের চাহিদা বাড়বে এবং দ্বিগুন দামে বিক্রি করে মোটা টাকা রোজগারের আশায় ফন্দি আটে ধৃতরা। ধরা পড়ার ভয়ে অপরিচিত কাউকে মদ বিক্রি করত না।কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইস্ট) গৌরব লাল জানিয়েছেন, 'ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি আদেশ অমান্য করা এবং আবগারি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।'