পুলিশের মানবিক মুখ, রাস্তায় ধারে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করা মহিলাকে উদ্ধার, সুস্থ শিশুও

  • কলকাতা পুলিশের মানবিক মুখ দেখল শহরবাসী
  • রাস্তায় ছটফট করা মা সহ সদ্যোজাতকে উদ্ধার
  • চিত্তরঞ্জন ভর্তি করেন পুলিশ কর্তা সৌভিক চক্রবর্তী
  • কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে স্যালুট শহরবাসীর

Asianet News Bangla | Published : Nov 11, 2020 6:51 PM IST / Updated: Nov 12 2020, 12:25 AM IST

গ্রিন করিডোর তৈরি করে সেখান দিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে কলকাতা পুলিশের গাড়ি। গন্তব্য কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ। গাড়িতে আছেন কলকাতা পুলিশের তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের অ্যাডিশনাল ওসি সৌভিক চক্রবর্তী। সময় নষ্ট না করে অতি দ্রুত পৌঁছতে হবে চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে। সে কারণেই ট্রাফিক গার্ড এর সঙ্গে কথা বলে সমস্ত সিগন্যাল গ্রীন করার নির্দেশ। আর সেই গ্রিন করিডোর এর মধ্যে দিয়েই ছুটে গেল কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট এর  গাড়ি। 

আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত অফিসে রাতভর মদ-মাংসের আসর, প্রধান সহ পঞ্চায়েতকর্মীরা ১৬ ঘণ্টা ঘেরাও

মঙ্গলবার দুপুর একটা, নিয়মমাফিক রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন সৌভিক বাবু। টহল দিচ্ছিলেন বাসন্তী হাইওয়ে এর উপরে। সেই সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তার নজরে আসে রাস্তার ধারে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করা এক মহিলা। কাছে গিয়ে দেখতে পান এক সন্তানের জন্মও দিয়েছে সে। তারপর সময় নষ্ট না করে দ্রুত ওই মহিলাকে গাড়ি তুলে রওনা দিলেন পার্ক সার্কাস চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজের উদ্দেশ্য। গাড়িতে বসেই যোগাযোগ করলেন এই মহিলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পরিবারের সদস্যরা আসার আগেই নিজের দায়িত্বে ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেন। কেবল তাই নয় কিনে দিলেন প্রয়োজনীয় ওষুধ। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে নবজাতক শিশু এবং মা দুজনেই সুস্থ আছেন। 

আরও পড়ুন-প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে বিজেপির জয়জয়কার, প্রভাব পড়ল নবাব নগরী মুর্শিদাবাদে

নবজাতক শিশু এবং তার মা দুজনেই সুস্থ থাকুক এমনটা প্রত্যেকেই চান। তবে সমাজের বুকে যে উদাহরণ সৌভিক চক্রবর্তীর মতো কলকাতা পুলিশের অফিসাররা তৈরি করছেন তা এক কথায় অসাধারণ। কেবল  একজনের জীবন বাঁচানো নয়, নতুন প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখাতে সাহায্য করা সৌভিক বাবুকে আমাদের স্যালুট। "পাশে আছি সাধ্য মতো", এই ট্যাগ লাইন ব্যবহার করে বহু অসাধ্য সাধন করেছে কলকাতা পুলিশ। বহু মানুষের চোখের জলকে ঠোঁটের হাসিতে রূপান্তরিত করেছে। হয়তো ঈশ্বরের দ্রুত হিসাবেই ওই নবজাতকের ত্রাতা হয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সৌভিক বাবু। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সৌভিক বাবুর কাছে আবেদন, থামবেন না, আগামীর জন্য এখনও অনেক উদাহরণ তৈরি করা বাকি রয়েছে। যা আগামীদিনে গর্বিত করবে আজকের নবজাতককে।

Share this article
click me!