যাদবপুরে যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্যের জট ছাড়াতে তদন্ত নামল পুলিশ। পল্লবী কর্মকার নামের ওই যুবতীর মৃ্ত্য়ুর পিছনে তার প্রেমিককেও সন্দেহ করা হচ্ছে। পাড়ার লোকেরা বলছেন, এমনিতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সেরকম মেলামেশা না থাকলেও ওই বাড়িতে বেশ কয়েকজন লোকের আনাগোনা ছিল।
সম্প্রতি যাদবপুরের বিজয়গড়ের ফ্ল্যাট থেকে এক যুবতীর ঢুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, খুন করা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের সন্তানকে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই কোনও কিছু বলতে পারবেন তারা।
সূত্রের খবর, আসলে নিউটাউনের বাসিন্দা বছর তেইশের ওই যুবতী। বাবা মারা যাওয়ায় মা ও ভাইকে নিয়েই ছিল সংসার। সেলাইয়ের কাজ করেই অর্থ রোজগার ছিল পল্লবীর। যদিও গত তিন বছর ধরে বিক্রমগড়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। এলাকাবাসীর দাবি গত শনিবার শেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর আর তাঁকে দেখা যায়নি। পরে ফোন করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সন্দেহ জাগে বাসিন্দাদের। পুলিশকে খবর দেয় তারা। পরে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেখেন, ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পল্লবীর দেহ। ততদিনে তাঁর সারা শরীরেই পচন ধরে গিয়েছে য়ুবতীর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সিলিং ফ্যান থেকে প্রথমে ঝুলছিলেন ওই পল্লবী। যদিও পরে ফ্যান ছিঁড়ে দেহ নীচে পড়ে যায় তার।
যদিও তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে,সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ। তবে খোঁজ করা হচ্ছে পল্লীবর প্রেমিকের। যুবতীর পরিবারের দাবি, পল্লবীর প্রেমিক রয়েছে। তার সঙ্গে যাদবপুরে লিভ ইন করতেন তিনি। ওই যুবকই তাঁকে খুন করেছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। ইতিমধ্য়েই প্রেমিকের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পরিবার। ঘটনার তদন্তে পল্লবীর কললিস্ট দেখা হচ্ছে।