আজ সকালে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। এছাড়া বিকাশ ভবনের সামনের দেওয়ালেও সেই পোস্টার সাঁটানো হয়।
'নিখোঁজ বাংলার শিক্ষামন্ত্রী, সন্ধান চাই' লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। আজ সকালে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এছাড়া বিকাশ ভবনের সামনের দেওয়ালেও সেই পোস্টার সাঁটানো হয়। সেখানে লেখা রয়েছে, "বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ত্রিপুরায়, শিক্ষকরা বঞ্চিত অসহায়"। বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভের সময় বল হাতে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের খেলা করতেও দেখা গিয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে হটানোর চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। সে সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। পরে চারজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে বিধাননগর পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে ৩৬০০ জন শিক্ষিকা শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ৩৬ জন অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজারও কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের শিক্ষা দফতরে নিয়ে আসার বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতো পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে তাঁদের ফাইল অর্থ দফতরে এবং শিক্ষা দফতরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে। ফলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও বার্ষিক ৩শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আর সেই কারণে বিক্ষোভকারীদের দাবি, পঞ্চায়েতের অধীনস্ত এসএসকে, এমএসকে ও এএস-রা যেমন শিক্ষা দফতরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, ঠিক তেমন ভাবেই পৌর ও নগরোন্নয়নের অধীনস্ত এসএসকে, এমএসকে ও এএসদের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এছাড়া বার্ষিক ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকার সুবিধা দিতে হবে। রাজ্যের ৬০০ জন একাডেমিক সুপার ভাইজার ও ১৭ জন ডিকিউএম কর্মীদের শিক্ষা দফতরে সম্মানজনক পদ মর্যাদা সহ বকেয়া বার্ষিক ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকা যাতে তাঁরা দ্রুত পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতিতে সংকটে মুর্শিদাবাদের মিষ্টি ব্যবসা, কপালে হাত ছানা সরবরাহকারীদের
আরও পড়ুন- মাওবাদী পোস্টারে লেখা 'হরিবোল', কিষণজির হত্যার বদলা নিতে চেয়ে হুমকি জঙ্গলমহলে
তাঁদের আরও দাবি, কেন্দ্রে জনবিরোধী বিজেপি সরকার দ্বারা শিক্ষা বিরোধী নীতি জাতীয় শিক্ষানীতির কবল থেকে চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষকদের জীবন ও জীবিকা সুনিশ্চিত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো পার্শ্বশিক্ষক সহ সমগ্র শিক্ষা অভিযানের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সহ স্থায়ী শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ন্যায় উন্নতিকরণ করতে হবে।