সংক্ষিপ্ত
পুরুলিয়ায় মাওবাদী পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক। তৃণমূল নেতাদের হুমকি দিয়ে ৭টি পোস্টার পড়েছে যা নিয়ে কিনারা করতে শুরু করেছে পুলিশ।
আবারও নতুন করে মাওবাদী পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল জঙ্গলমহলে। পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল ব্লকেই বেশ কয়েকটি মাওবাদী পোস্টার দেখা গেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। অধিকাংশ পোস্টারেই মাওবাদী নেতা কিষাণজির হত্যার বদলা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টাকা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের জঙ্গলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই মাওবাদী পোস্টারগুলিতে সরাসরি নিশানা করা হয়েছে শাসকদলের নেতাকর্মীদের। পোস্টারে'খেলা হবে' নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে। কোন পোস্টারে লেখা রয়েছে "TMC নেতাদের অবিলম্বে দল ছাড়তে হবে না জনগণের আদালতে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।"নিচে লেখা CPI(মাওবাদী)।এক জায়গায় লেখা "কালকের মধ্যে রাত ৪টার মাধবপুর সামনে সোনাজুরি জঙ্গলে টাকা নিয়ে দেখা করবে অন্যথায় পরিবার মারা যাবে।পুলিশকে বা অন্য কাউকে জানালে তোমার ছোট ছেলে মারা যাবে দিন ১০টার মধ্যে"।নিচে লেখা CPI(মাওবাদি)। "খেলা হবে খেলা হবে এবার তো আমরা খেলব গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে রাজ্যসভা পর্যন্ত। TMCর পতাকা যে ধরবে তার হাত দুটো কেটে বাদ দেওয়া হবে"।
মাওবাদী পোস্টারে সরাসরি বলা হয়েছে- কিষানজির মৃত্যুর বদলা চাই। জঙ্গলে টাকা নিয়ে দেখা করতে হবে।টাকা না দিলে শাসক দলের নেতার ছেলেকে খুনের হুমকি, সহ সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতির দিন শেষ। খেলা হবেকে কটাক্ষ করে লেখা এবার তারা খেলবে।হাত দুটো কেটে বাদ দেওয়া হবে। পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের ব্লক বরাবাজার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাও নামাঙ্কিত সাদা কাগজের লাল কালিতে লেখা পোস্টার ঘিরে এলাকায় ধোঁয়াশার মধ্যেও চড়িয়েছে মাও আতঙ্ক। ধ্বন্দে পড়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার বরাবাজার অঞ্চল সহ একাধিক জায়গায় মাওবাদি পোস্টার উদ্ধার।পোস্টার পাওয়া গেছে পড়রা গ্রামে তুমড়াষোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম এবং বেড়াদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুকুরচাড়ি গ্রাম এবং কেঁড়রোর ড্যামের কাছে। মোট সাতটি জায়গায় মাওবাদী পোস্টার পাওয়া গেছে।
Afghanistan Crisis: ৪৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার ভারতীয় বিমান বাহিনীর, কাবুলে মুক্তির অপেক্ষায় আরও শতাধিক
তালিবানদের হাত থেকে মুক্তিপেতে হিন্দু-শিখদের সাহায্য, সংখ্যালঘু আফগানদের পাশে থাকবে ভারত
এদিকে একটার সাথে আরেকটা লেখার প্রসঙ্গ এবং বানান বা কাটাকাটি লেখা এবং পোস্টারে 'বল হরি হরি বোল লেখা নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য। এর আগে অতীতে মাওবাদী জমানায় মাওবাদী পোস্টার পড়লেও কোথাও "বল হরি হরি বল" লেখা হত না। কারণ মাওবাদীরা এসবে বিশ্বাস করে না তাই লেখার শেষে হরি বোল শব্দের ব্যাবহার নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য। যদিও জেলার পুলিশ সুপার এস. সেলভা মুরুগান জানান পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।মাও পোস্টার নিয়ে বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতুল মাহাতো জানান। আমি নিজে পোস্টার দেখিনি। কর্মীর কাছে শুনলাম মাও পোস্টার পড়েছে। প্রশাসন পোস্টারগুলো উদ্ধার করেছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত চলছে তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত। এলাকায় যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যেও এই সব হওয়ার কথা নয়। বিরোধীরাই এই কাজে লিপ্ত বলেও মনে করছেন তিনি। আমার ধারণা আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের স্পেশাল প্যাকেজ থেকে কিছু চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকার কিছু মানুষ বিভ্রান্ত ছড়াতে চাইছে। যারা বাদ পড়েছে,বা যারা চাকরি পাননি তারা আদৌ মাওবাদী ছিলেন কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। হয়তো এই প্যাকেজ দেওয়ার পর এখন আবার নতুন করে মাওবাদী পোস্টার দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে চাইছে বলেও প্রতুল মাহাত মতামত ব্যক্ত করেন।