অনেক আগেই বেহালার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। থাকতে শুরু করেছিলেন গোলপার্কের একটি ফ্ল্যাটে। পরবর্তীকালে সেই ফ্ল্যাটে এসে থাকতে শুরু করেন 'বান্ধবী' বৈশাখী বন্দ্যেপাধ্যায়। প্রায় চার বছর কলকাতার প্রাক্তন নেতা তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়ার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্থায়ী ঠিকানা ছিল সেই গোলপার্কের ফ্ল্যাট। কিন্তু এবার সেই ফ্ল্যাট খালি করতে হবে বলে চিঠি পাঠান হয়েছে রত্ন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের পক্ষ থেকে। আর যদি অবিলম্বে ফ্ল্যাট খালি করা না হয় তা হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মনী নদীর সেতুর ওপর দিয়ে বইছে জল, করোনাকালে প্রায় বিচ্ছিন্ন কয়েক হাজার মানুষ ..
'সব সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছি', ফ্ল্যাট নিয়ে বিবাদের মধ্যেই ঘোষণা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ...
২০১৭ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায় বেহালার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তারপর থেকেই থাকতে শুরু করেন গোলপার্কের ফ্ল্যাটে। সেই বছরই জুলাই মাসে ফ্ল্যাটে এসে ওঠেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় একই ছাদের তলায় বৈশাখীর সঙ্গে সেই ফ্ল্যাটেই থআকতে শুরু করেন। প্রথম থেকেই রত্না চট্টোপাধ্যায় দাবি করে আসছেন গোলপার্কের ওই ফ্ল্যাট আসলে তাঁর দাদার। বছর কয়েক আগে মৃত্যু হয় রত্নার দাদা দেবাশিসের। কিন্তু তারপরেও গোলপার্কের ফ্ল্যাটে থাকার কোনও আইনি অধিকার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নেই বলেও দাবি করেন রত্না। যদিও রত্না কখনই দাবি করেননি শোভন শ্যালকের ফ্ল্যাট দখল করে রয়েছে। যদিও মেয়ের জন্য রত্না একবার রাতেদুপুরে সেই ফ্ল্যাটের নিচে অবস্থানেও বসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। ক্রমশই গাড় হয়েছে শোভন বৈশাখী সম্পর্ক। আর তিক্ততা বেড়ে শোভন আর রত্নার মধ্যে।
সত্যি কি কোভ্যাক্সিনে রয়েছে বাছুরের সিরাম, জানুন কোভিড টিকা নিয়ে কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ...
নারদকাণ্ডে শোভনের গ্রেফতারির পর ছেলে নিয়ে রত্না পৌঁছেগিয়েছিলেন সিবিআই দফতরে। কিন্তু ফেসবুকে বৈশাখীকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শোভন জানিয়েছিলেন তিনি সেই সময় রত্নাকে তাঁর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে সরাসরি নিষেধ করে দিয়েছিলেন। ছেলের ঋষির সঙ্গে কথা বলেননি বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশাখীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের স্বীকৃতি দিতে চেয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন। যদিও ফেসবুক পোস্ট নিয়ে রত্না জানিয়েছিলেন তাঁর বলার কিছু নেই। দুজন হাতাশ মানুষ একত্রিত হয়েছেন। তবে এদিন শোভন আর রত্নার পরিবারের মধ্যে ফ্ল্যাট নিয়ে বিবাদ যখন প্রকাশ্যে এল তখন অবশ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সব স্থাবর আর অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখে দিয়েছেন। এখন থেকেই সেই সম্পত্তির মালকিন বৈশাখী।