প্রমোটিং এর জন্য ভাড়াটিয়াকে দলবল নিয়ে হেনস্থা করল প্রোমোটার। এদিকে কিছু দিন আগেই জয় পাল ও তার স্ত্রী করোনা রোগ সারিয়ে বাড়ি ফেরেন। তারই মধ্যেই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা ৬৩ নম্বর শিশির বাগানে। অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে অথৈ জলে স্বস্ত্রীক জয় পাল।
অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে ১০ বছর ধরে ভাড়া থাকেন জয়পাল এবং তার স্ত্রী ।বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ।কিছু দিন আগে জয় পাল ও তার স্ত্রী করোনা রোগ সারিয়ে ফিরে আসেন। এরই মধ্যে জানা যায় যে বাড়িটিতে জয় পাল থাকেন সে বাড়িটি স্থানীয় প্রমোটারকে হস্তান্তর করা হয় জয় পাল কে না জানিয়ে। এর পর থেকেই প্রমোটার তার দল বল নিয়ে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে জয় পাল কে। এবং বাড়ি ছেড়ে দিলে জয় পাল কে আড়াই লক্ষ্য টাকা দেওয়া হবে এমনটাই জানান প্রমোটার। এমত অবস্থায় জয় পাল এর বক্তব্য তার পক্ষ্যে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা ও মা কে নিয়ে অন্যত্র নিয়েযাওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য তিনি প্রমোটার এর কাছে সময় চেয়েছেন।
গত পরশু দিন প্রমোটার ও তার লোকজন বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়। নিরাপত্তা র জন্য আজ জয় পাল বেহালা থানায় রাতে একটি অভিযোগ করে। তারপর আজ থানায় অভিযোগ এর খবর পেয়েই প্রমোটার দলবল সহ মদ্যপ অবস্থায় জয় পালের বাড়িতে জোর করে ঢুকতে চায়।সেই সময় গেটে তালা মারা ছিল তাই প্রমোটার ও তার দল বল বলে তালা না খুললে তালা ভেঙে তারা বাড়ির ভিতরে ঢুকবে। তখন জয় বাধ্যহন তালা খুলতে। এর পর বাড়িতে প্রমোটার সহ বেশ কয়েক জন বাড়িতে ঢুকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকে।
পাশাপাশি জয় ও তার স্ত্রী কে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। এবং হুমকি দিয়ে বলা হয় আগামী কাল আড়াই লক্ষ্য টাকা নিয়ে আসব ও সেই টাকা নিয়ে সাথে সাথে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে নাহলে প্রতিদিন রাতে এই ভাবেই জয় ও তার পরিবারের লোকজন কে হেনস্থা করা হবে। আতঙ্কিত বৃদ্ধ বাবা ও মা সহ পরিবার। এরপর অভিযুক্ত প্রমোটার সত্যজিৎচট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেহালা থানায় অভিযোগ জানাবেন এমনটাই জানালেন জয় পাল।