কাটা আঙুল জোড়া লাগাল আরজি কর। মেশিনে ঢুকে যাওয়া দু টি আঙুলই প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে হাসপাতাল চলে গিয়েছিলেন বর্ধমানের অভিজিৎ বাগ। কিন্তু সেখানে কিছু হয়নি। শেষ অবধি পৌঁছান কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। সেখানেই শেষ অবধি সাফল্য় মেলে।
আরও পড়ুন, অনুপ্রবেশ রাজ্য়ের সমস্য়া, মানলেন সাহিত্য়িক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
এই ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবারে । এক সপ্তাহ বাদে শুক্রবার রোগীকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মধ্যমা ঠিকঠাকই জোড়া লেগেছে। রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হওয়ার পথে। আর তর্জনীর কাটা অংশ যতটা সম্ভব মেরামত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অভিজিৎ উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার নওয়াদাপাড়ার একটি কারখানায় কাজ করেন। শনিবার বেলা এগারোটা নাগাদ, কাজ করার সময় মেশিনে অভিজিতের বাঁ হাত ঢুকে যায়। বের হল যখন তখন দুটি আঙুল হাত থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। তর্জনী কোনওমতে আটকে আছে চামড়ার সুতোয় এবং আর মধ্যমা গড়াগড়ি খাচ্ছে ধুলোয়। এদিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেশিনঘর। সহকর্মীরা দ্রুত অভিজিৎকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন, পার্কসার্কাসে এটিএম কার্ডের ক্লোনিং চক্রের পর্দা ফাঁস, সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
কারখানা থেকে বেরনোর আগে আঙুল দু টি প্লাস্টিকে মুড়ে পকেটে পুরে নেন অভিজিৎ। আঙুল দুটি জোড়া লাগার সম্ভাবনায়, সাগর দত্ত থেকে অভিজিৎকে রেফার করা হয় আরজি কর হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে। দুপুর দেড়টা নাগাদ ট্রমা কেয়ার সেন্টারে আসেন অভিজিৎ। চিকিৎসকেরা হাত ও কাটা আঙুল দু টি পরীক্ষা করেন। রূপনারায়ণবাবু জানিয়েছেন, দু টি আঙুলই বাজেভাবে থেঁতলে গিয়েছিল। শুধুমাত্র মধ্যমার অবস্থা সামান্য ভাল ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, আঙুল দু টি হাসপাতালে নিয়ম মেনে আনা হয়নি। প্লাস্টিকে মোড়ার পর বরফের বাক্সে করে আনা উচিত ছিল। এদিকে অভিজিৎ বাবুর আঙুল পকেটে করে আনা হয়েছে। সেই ধুলোমাখা আঙুলই পরিষ্কার করে জোড়া লাগালেন রূপনারায়ণবাবুরা। উল্লেখ্য়, আগের সপ্তাহে এসএসকেএম হাসপাতাল কাটা হাত জোড়া লাগিয়েছিল। এবার কাটা আঙুল জোড়া লাগাল আরজিকর।