বিজেপির অন্দরের কথা এবার ফাঁস করে ফের বিতর্ক তৈরি করলেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, পুরভোটে প্রার্থী হতে দিতে হয়েছে টাকা।
এর আগেও দল(BJP) বারবার তাঁর জন্য অস্বস্তিতে পড়েছে। একাধিকবার তাঁর জন্য ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপির (State BJP) শীর্ষ নেতাদের। বিজেপির অন্দরের কথা এবার ফাঁস করে ফের বিতর্ক তৈরি করলেন সাংসদ (MP) রূপা গঙ্গোপাধ্যায়(Rupa Ganguly)। রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, পুরভোটে প্রার্থী হতে দিতে হয়েছে টাকা। পুরভোটের দিনই এই বোমা ফাটালেন তিনি। প্রাক্তন কাউন্সিলর তিস্তা দে বিশ্বাসের মৃত্যুর পর তাঁর স্বামী গৌরব বিশ্বাস পুরভোটে টিকিট না পাওয়া নিয়ে সরব হয়েছিল রূপা।
এই ঘটনা বিজেপির অসন্তোষের মুখে পড়তে হয় এই সাংসদকে। তবে তাতে বিশেষ হেলদোল নেই তাঁর। রবিবার ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে টাকার খেলা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অন্তত এটা ঘটেছে। বিষয়টির প্রমাণও রয়েছে আমার কাছে।' সেক্ষেত্রে কেন এই বিষয়টি নিয়ে দলের কাছে দরবার করছেন না রূপা! এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'দল জানে না এটা হয় নাকি কখনও!'
এদিন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে রূপা বলেন 'আমাদের রাজ্য বিজেপি সভাপতি নতুন। কিন্তু, দিলীপ ঘোষের পুরনো টিমটা রয়েছে। এখন তারা বদমাইশি না থামালে মুশকিল।' কাকে এখানে টার্গেট করতে চেয়েছেন রূপা, তা স্পষ্ট। রূপা এদিন স্পষ্ট জানান, তিনি রাজ্য BJP-র কেউ নন। রাজ্য BJP-র কোনও সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব তাঁর উপর দেওয়া হয়নি। পুরভোটের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য হওয়ার প্রসঙ্গে রূপা বলেন, 'আমি বেকার কোনও কমিটির মেম্বার নই।' হাতে গোনা কয়েকজন সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন বলেও তোপ দেগেছেন রূপা। BJP-র প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে অর্থের খেলা রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
তবে রূপা এদিন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বিষয়টা দল দেখবে বলে কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোট নিয়েই বৈঠকের আয়োজন করে বিজেপি। ওই বৈঠকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। বৈঠক চলাকালীন নিজের মেজাজ হারিয়ে বসেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। আচমকাই রূপা বলে ওঠেন, 'এই সব ভাটের বৈঠকে আমাকে ডাকবেন না'। এবং তৎক্ষণাৎ বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর রূপার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয় নয়া জল্পনা।