বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী। অনেকটা এরকম মনোভাব নিয়েই কাজ শুরু করছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষ। ট্যুইট করে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্যের ঢালাও প্রশংসা করলেন সায়নী। রীতিমত দেবাংশুকে রকস্টার প্রচারক বলে সম্বোধন করে তিনি।
মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, বঙ্গ জননীর সভানেত্রী ও সাংসদ মালা রায়, সাধাররণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহার সঙ্গে দেখা করেন সায়নী। কথা হয় পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে। এখানেই সায়নীর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন বসুন্ধরা গোস্বামী, সৌম্য বকসি ও শক্তি প্রতাপ সিংহ।
তৃণমূল যুব-র দায়িত্ব নিয়েই আসরে নেমে পড়েছেন সায়নী। বিধানসভা ভোটে হারলেও, দলে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত এই তরুণ তুর্কি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন সায়নী। তাই ঢেলে সাজাতে চাইছেন তৃণমূল যুবকে।
সায়নীর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি বুঝেছেন, যুব সংগঠন সায়নীকে দেখে আকৃষ্ট হবে এবং কমবয়সী ছেলেমেয়েরাও রাজনীতিতে আসবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এইভাবেই দল সাজাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। গুরুদায়িত্ব পেতে না পেতেই একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন সায়নী। ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা দিয়েই নিজের কাজের শুরু করতে চান সায়নী। এছাড়াও অভিনেত্রী নতুন দায়িত্ব পেয়েই জানিয়েছেন, আগামী দিনে ১২০ শতাংশ কাজ করবেন তিনি।
এদিন আলাদা করে দেবাংশুর প্রশংসা করেন সায়নী। তৃণমূলের যুব মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন দেবাংশু। বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেলেও দেবাংশু তৃণমূলের সুবক্তা ও প্রতিনিধি হিসেবে নজর কেড়েছেন। তাই সায়নীর দাবি দেবাংশু তৃণমূল যুবর অন্যতম মুখ, তাঁর ওপর গুরুদায়িত্বই সঁপতে চান তৃণমূল যুবর নেত্রী।