১০ সেপ্টেম্বর রাজারহাট থানার চাঁদপুর ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় হুল পাত্রের মৃত্যু হয় রাজারহাটের পুলিশ লকআপে। এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রাজারহাট এলাকা।
রবিবার রাজারহাটের নিহত দলীয় কর্মী সঞ্জয় হুল পাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাবে বিজেপি। প্রয়োজনে তাঁরা আদালতেরও দ্বারস্থ হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সায়ন্তন।
১০ সেপ্টেম্বর রাজারহাট থানার চাঁদপুর ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় হুল পাত্রের মৃত্যু হয় রাজারহাটের পুলিশ লকআপে। এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রাজারহাট এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, দুয়ারে সরকার শিবির থেকে সঞ্জয়কে বিনা দোষে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এরপর তাঁকে লকআপের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় রাজারহাট থানার সামনেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সহ স্থানীয়রা। স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই বিক্ষোভ ওঠে। রবিবার সঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান সায়ন্তন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, "এক যুবক সঞ্জয় হুল পাত্র নির্বাচনের সময় বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা বিজেপি করত এটাও নয়। পুলিশ নাকি মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায়। পরের দিন সে মারা যায়। তার বাড়িতে এসে জানা গেল পরিবার কোনও এফআইআর করতে পারেনি। এখানকার বিধায়কের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা কোনও বিষয়ে বোঝাপড়া হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন পুলিশের কাছে পুলিশ হেফাজতে যদি কেউ মারা যায় তাহলে স্থানীয় বিধায়কের কি ভূমিকা আছে সেটেলমেন্ট করার। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পরে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। কেন কোনও এফআইআর হল না? মানবাধিকার কমিশন কি বিষয়টা জানে?"
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে তলব দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের, ৩০ সেপ্টেম্বর হাজিরার নির্দেশ
আরও পড়ুন- আইকোর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবার মানস ভুঁইয়াকে তলব সিবিআইয়ের, সোমবার হাজিরার নির্দেশ
প্রয়োজনে সিবিআইকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, "ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে এসেছি খোঁজ খবর করলাম। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুটা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানানো হবে। এবং প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলা হবে। কারণ এটা পরিষ্কার যে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর বিধায়কের প্রেসারে পুলিশের বিরুদ্ধে পরিবার এফআইআর দায়ের করতে পারছে না। আমরা পরিবারের পাশে আছি এবং কঠোরতম শাস্তি যাতে অপরাধীরা পায় তার জন্য চেষ্টা করব।"