একদিনে একলাফে ২৫০০ ছাত্র, গিনেস বুকে সায়েন্স সিটি

  • গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এবার নাম উঠল সায়েন্স সিটির
  • ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালেই এই সম্মান পায়
  •  বিজ্ঞান ক্লাসে  উপস্থিত  ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্য়া  ২৫০০ ছাড়িয়ে যায়
  • পড়ুয়ারা অংশ নেয়, প্রর্দশনী,বিজ্ঞান কুইজ ও আলোচনামূলক অনুষ্ঠানে
     

Ritam Talukder | Published : Nov 7, 2019 6:28 AM IST / Updated: Nov 07 2019, 05:03 PM IST

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠল সায়েন্স সিটির। গত মঙ্গলবার, সায়েন্স সিটিতে ছিল পঞ্চম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন। ওই দিনই এক নজির গড়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পায় সায়েন্স সিটি। 

আরও পড়ুন, ফিরহাদের নথিতে পুকুর,আইনি জটিলতায় ডেঙ্গুর আস্তানা ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড

সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যা ও স্পেকট্রোস্কেপ সম্পর্কিত ক্লাস উপলক্ষে আশা করা হয়েছিল ১৭৫০ জন পড়ুয়া সেখানে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সেই সংখ্য়াটা পরে গিয়ে ২৫০০ এরও বেশি ছাড়িয়ে যায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের  এই সম্মান পায় আইইউসিএএ অর্থাৎ ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স । উদ্যোক্তারা জানান যে, এর আগে একই জায়গায় কোনও ক্লাসে  এত বেশি সংখ্যক পড়ুয়ার হওয়ার নজির নেই। তাই তাদের দেওয়া হল এই সম্মান। ‌

আরও পড়ুন, জয়েন্টে বাংলাতেও প্রশ্নপত্র করতে হবে, কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের

উৎসবের দ্বিতীয় দিনে,বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় 'ইয়ং সায়েন্টিস্টস কনফারেন্স'। এ দিন ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়, প্রর্দশনী,বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনামূলক অনুষ্ঠানে। বক্তব্য় রাখেন, পিডি লাইটের প্রেসিডেন্ট অনুভব সাক্সেনা। তিনি জানান যে, কীভাবে তিনি চাকরীজীবন ছেড়ে এসে গবেষনায় লিপ্ত হন। তিনি আরও জানান যে, সম্প্রতি একটি  সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী প্থিবীর প্রথম সারির চাকরি গুলি পিএইচডি ডিগ্রি-কেই বেশি প্রাধান্য় দিয়ে থাকে। বিদেশের বেশিরভাগ সংস্থাতেই ওই ডিগ্রী প্রাপ্ত ভারতীয়রা কাজ করছেন। তাই তিনি ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বেশি পরিমাণে গবেষণায় যুক্ত হতে উৎসাহ দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন, 'কাঁটা' ভিড়ছে তৃণমূলে, দেবশ্রী কি পদ্মফুলে

ডক্টর শীলা রামকৃষ্ণও এদিন বক্তব্য় রাখেন গবেষণার আরও কিছু বিষয়ে।  চাকরি করার থেকে গবেষণায় নিজেকে নিযুক্ত করা খুব কঠিন কাজ । গবেষণামূলক কাজে কোনও ছুটি নেই। গবেষকদের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই  কাজ করতে হয়। তবে এখন বিদেশে গবেষণার সুযোগ অনেকটা পরিমানে বেশি। তিনি আরও জানান যে, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, হোমি জাহাঙ্গির ভাবা, এ পি জে আবদুল কালাম ,কল্পনা চাওলা সহ বিভিন্ন বিজ্ঞান ভিলেজগুলিতে দেশের নানা  প্রান্ত থেকে এসে পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞান মেলায় বই কেনার জন্য় ভালই হয় সঙ্গে প্রতিযোগীরা জিতে নেয় নানা পুরষ্কার।
 

Share this article
click me!