মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না, সাধারণের কাছে জানতে চাইল সরকার

  • করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনিশ্চিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
  • পরীক্ষা নেওয়া উচিত কিনা তা জানতে চাইল সরকার
  • সাধারণ মানুষকে নিজের মতামত জানাতে বলা হয়েছে
  • ৭জুন দুপুর ২টোর মধ্যে ইমেলে মতামত জানাতে পারবেন

debojyoti AN | Published : Jun 6, 2021 11:22 AM IST / Updated: Jun 06 2021, 04:53 PM IST

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনিশ্চিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। একাধিকবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার দিন। এ বছর পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হবে কি না এবার তা সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইল সরকার। 

রবিবার রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। যেখানে লেখা, "রাজ্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে। সেই কমিটি যে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে, সেগুলি হল ১) এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না, ২) পরীক্ষা হলেও কী ভাবে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে, ৩) পরীক্ষা না হলে মূল্যায়ণ কী ভাবে হবে।"

সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, "বিশেষজ্ঞ কমিটি আলোচনা করলেও সাধারণ মানুষ, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মতামতও জানতে চাইছে সরকার। আগামীকাল অর্থাৎ ৭ জুন দুপুর ২টোর মধ্যে ইমেলের মাধ্যমে আপনারা মতামত জানান। আপনাদের মতামত আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" মতামত জানানোর জন্য যে তিনটি ইমেল আইডি দেওয়া হয়েছে তা হল, ১) pbssm.spo@gmail.com, ২) commissionerschooleducation@gmail.com, ৩) wbssed@gmail.com

এরপর টুইট করেন একই আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান তিনি লেখেন, "আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কি না সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছি। সেই সঙ্গে আমরা অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, সমাজ ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছেও তাঁদের মতামত জানতে চাইছি।"

 

 

এ বছর মাধ্যমিক হওয়ার কথা ছিল ১ জুন থেকে। শেষ হত ১০ জুন। অন্যদিকে, ১৫ জুন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা আবহের মধ্যে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, মনোবিদ, চিকিৎসক ও শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা রয়েছেন। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব বলে উল্লেখ করে নবান্নকে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে এই কমিটি। যদিও নবান্নের তরফে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তার আগে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চাইছে সরকার। আর তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।

Share this article
click me!