ট্রেন ধরার ফাঁকেই কেনাকাটা, শিয়ালদহ স্টেশনে এবার শপিং মল

 

  •  দেশের কিছু স্টেশনে শপিং মল বানাবে ভারতীয় রেল
  • এবার তারই মধ্যে স্থান পেল এবার শিয়ালদহ স্টেশন
  •  রোজ স্টেশন জুড়ে কয়েক লক্ষ যাত্রী চলাফেরা করে
  • সেদিক থেকে যাত্রীরা এবার বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছে
     

Ritam Talukder | Published : Dec 28, 2019 7:58 AM IST

নাগরিক জীবনের পরিবর্তন এনে দিয়েছে শপিং মল। কেনাকাটি করার জন্য় এক ছাদের তলায় যে কোনও জিনিস কিনতে গেলে যেমন সময়ও বাঁচে, তেমন পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়াও হয়ে যায়। আর এবার সেই সব কিছু সুবিধা হাতের মুঠোয় পেতে চলেছে  শিয়ালদহ স্টেশন।  স্টেশনের মধ্য়েই এবার তৈরি হতে চলেছে অত্যাধুনিক শপিং মল, সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।

আরও পড়ুন, আইপিএস থেকে আইএএস, তথ্য-প্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিব পদে রাজীব কুমার

শহর কলকাতার অন্য়তম ব্য়স্ত  রেলওয়ে স্টেশন হল শিয়ালদহ। লোকাল ট্রেন এবং এক্সপ্রেস ট্রেন মিলিয়ে শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশো ট্রেন যাতায়াত করে। আর সে কারনেই শিয়ালদহ স্টেশন জুড়ে কয়েক লক্ষ যাত্রী চলাফেরা হয়েই থাকে। এদিকে স্টেশনের বিল্ডিংয়ের বহু জায়গা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বহু এমন ঘর রয়েছে যা অফিসের জন্য ব্যবহার করার কথা উঠলেও শেষ অবধি আর দরকার পড়েনি। কিন্তু কিছুদিন আগেই সেই অব্যবহৃত জায়গা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। এর পাশাপাশি দেশের বেশ কয়েকটি স্টেশনে তাই শপিং মল, হোটেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তারই মধ্যে স্থান পেল এবার শিয়ালদহ স্টেশন।

আরও পড়ুন, হল না শেষ রক্ষে, ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল বাঁশদ্রোণীর কুয়োয় পড়ে যাওয়া যুবকের দেহ


শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে খবর, স্টেশন বিল্ডিংয়ের একতলা ও দোতলায় বড় একটা অংশ ফাঁকা রয়েছে। আর সেখানেই শপিং মল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। স্টেশন পরিচালনার বাকি কাজ তৃতীয় তলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কারণে স্টেশনের তৃতীয় তলে চলছে রেলের অফিস তৈরির কাজ। ইতিমধ্যেই স্টেশনের ফাঁকা জমিতে আইআরসিটিসি তাদের ফুড কোর্ট বানিয়েছে। এবং সেখানে নন টিকিট এরিয়া হওয়ায় প্রতিদিন বহু মানুষ  ভিড় জমাচ্ছেন । আর এবার তারই পাশে ফাঁকা জায়গায় তৈরি হতে চলেছে শপিং মল। ডিভিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রেল বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে চাইছে। তাই পড়ে থাকা জায়গাকে  চুক্তির মাধ্য়মে এভাবেই বাণিজ্যিক উপায়ে ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্য়েই ডাকা হয়েছে টেন্ডার। তিনি আরও জানিয়েছেন, আশা করা যায়, নতুন বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই কাজ শুরু করে দেওয়া সম্ভব হবে। 

 

Share this article
click me!