করোনা রুখতে সুচিত্রা সেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ছবি

  • করোনা রুখতে ময়দানে সুচিত্রা সেন
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ছবি
  •  লকডাউন মোকাবিলায় তিনিই আদর্শ
  • কীভাবে করোনা রুখতে তিনি দৃষ্টান্ত
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 26, 2020 9:30 AM IST

করোনা রুখতে এবার ময়দানে সুচিত্রা সেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাঁর ছবি। লকডাউন মোকাবিলায় তাঁকেই আদর্শ ভাবছে নেটিজেনরা। যা দেখে কিংবদন্তি অভিনেত্রীর গুণমুগ্ধরাও বলছেন , এভাবেও বেঁচে থাকা যায়। 

প্রধানমন্ত্রীর ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণার পরও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না সমাজকে। বেশরিভাগ জায়গায় দেখা যাচ্ছে লকডাউন উপেক্ষা করে পথে বেরিয়ে পড়েছে জনতা। অত্যাবশ্য়কীয় পরিষেবার বাইরের লোকজনই বেশি ঘুরে বেড়াচ্ছে রাস্তাায় । বেগতিক দেখে বল প্রয়োগ করতে হচ্ছে পুলিশকে। বহুবার টুইটারে কলকাতাবাসীকে রাস্তায় বেরোতে বারণ করেছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। তাই লাঠিপেটা করতে হয়েছে পুলিশকেও। 

এই পরিস্থিতিতে জনতাকে ঘরমুখো করতে নতুন হাতিয়ার বানিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। যেখানে লকডাউনে ঘরে থাকার আদর্শ হিসাবে সুচিত্রা সেনকে তুলে ধরেছে নেটিজেনরা। ছবিতে লেখা হয়েছে, ইনি নিজেকে ৩০ বছর ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন , আমরা মাত্র ২১ দিন পারব না। মিম সামনে আসতেই বাঙালিরে সেরা অভিনেত্রীর ছবিতে লাইকের বন্যা বয়ে গেছে।

টলিউডের অতীত বলছে, সুচিত্রা সেনকে নিয়ে বাঙালির আবেগের শেষ নেই। এক সময় হলিউড অভিনেত্রী গ্রেটা গার্বোর সঙ্গে তুলনা করা হত তাঁকে। সুচিত্রা সেনের সপ্তপদী , হারানো সুর থেকে শুরু করে আঁধি এখনও ভুলতে পারেনি বাঙালি। কিন্তু সিনেমা ছাড়ার পরই নিজেকে ঘরবন্দি করে নেন এই অভিনেত্রী। তাঁকে দেখার কৌতূহলের শেষ ছিল না বাঙালির। কিন্তু তারাদের জীবন থেকে সরে যাওয়ার পর আর দেখা দেননি সপ্তপদীর রিনা ব্রাউন। এমনকী মৃত্য়ুর পরও তাঁর ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েছে সবাই। সেকারণে লকডাউনে তাঁকেই দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্য়ের সাংবাদিকতার অতীত বলছে, একবার বাংলা টেলিভশনের কোনও এক সাংবাদিক তাঁর ছবি প্রকাশ্য়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। লুকোনো ক্যামেরায় ধরা পডে়ছিল তাঁর মুখ। কিন্তু আলো আঁধারিতে প্রিয় অভিনেত্রীকে বুঝতে পারেননি কেউ। চ্যানেলের টিআরপি বাড়লেও বাঙালির মনে প্রিয়তমাকে দেখার স্বাদ থেকেই যায়। এখনও সুচিত্রা সেনের কথা আওড়াতে গিয়ে পাড়ার প্রবীণদের দীর্ঘ নিশ্বাস পড়ে। সবার মুখেই এক কথা, ৩০টা বছর 'স্বজন ছিলেন নির্জনে'।   

Share this article
click me!