লকডাউনের জেরে ওষুধের ঘাটতি মেটাতে জেলাশাসককে চিঠি, আশার আলোয় বিক্রেতারা

  • হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন বিক্রির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শুরু করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর 
  • প্রত্যাশিত ওষুধের যাতে ঘাটতি না পড়ে সেজন্য় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে 
  • জেলাশাসক ও ড্রাগ কন্ট্রোল অধিকর্তাকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানানো হয়েছে 
  • তাই বিক্রেতারা আশা করছেন এই সমস্যা থেকে খুব দ্রুত বেরিয়ে আসা যাবে 
     

Ritam Talukder | Published : Mar 26, 2020 7:55 AM IST

লকডাউন এর জেরে  ওষুধ শিল্পে সংঙ্কট তৈরি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি  করোনা পরিস্থিতিতে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধের  বিক্রি বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা আইসিএমআর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ কয়েক দিন আগে সেই ওষুধকে করোনার প্রতিরোধক হিসেবে চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পর থেকেই বাজারে থেকে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন বিক্রির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শুরু করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। আরও কয়েকটি অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ক্ষেত্রেও রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকেও কড়াকড়ি করার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যভবন।

আরও পড়ুন, কলকাতায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১, রাজ্য়ে সংখ্যা বেড়ে এবার ১০


রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর,  অন্যান্য় বহু জীবনদায়ি ওষুধের আকালের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানগুলিতেও জীবনদায়ী ওষুধের সঙ্কট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশেষ করে প্রেসার, সুগার, ডায়াবেটিস, অ্যাস্থমা ও হার্টের ওষুধগুলি সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানগুলিতে একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এসএসকেএম সংলগ্ন এক ওষুধের দোকানের মালিক বলেন 'গত দুদিন ধরেই ডিস্ট্রিবিউটররা আসতে পারছেন না। তার জেরে নতুন ওষুধ আর ঢুকছে না। তাই অনেকেই ওষুধ কিনতে এসেও ফিরে যাচ্ছেন।'

আরও পড়ুন, এবার করোনা হাসপাতাল রাজারহাটে, থাকছে একাধিক চিকিৎসক সহ ৫০০টি বেড


ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শনিবারের পর থেকে ওষুধের সরবরাহ অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  রোগী-পরিজনের মধ্যে প্রত্যাশিত ওষুধের জন্য যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয় সেজন্য় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে পাইকারি ও খুচরো ওষুধ বিক্রেতাদের সংগঠন বিসিডিএ অর্থাৎ বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের  তরফে বুধবার সব জেলাশাসক ও ড্রাগ কন্ট্রোল অধিকর্তাকে চিঠি লিখে সরবরাহের বিষয়টি  নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠিতে মূলত পরিবহণের অসুবিধা ও ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে কর্মরতদের দোকানে আসা-যাওয়ার সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাই তারা আশা করছেন খুব দ্রুতই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে এবং খুব শীর্ঘ্রই  তা ফলপ্রসু হবে।

আরও পড়ুন, গমগম করা ভিক্টোরিয়া যেন একেবারে ভুতুড়ে বাড়ি, খাঁ খাঁ করছে গোটা চত্বর, দেখুন ভিডিও

Share this article
click me!