স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একদম শিকড়ে পৌঁছাতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। আর সেই কারণেই ধৃত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মধ্য শিক্ষাপর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা- তিন জনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে করে চায়।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একদম শিকড়ে পৌঁছাতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। আর সেই কারণেই ধৃত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মধ্য শিক্ষাপর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা- তিন জনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে করে চায়। সিবিআই সূত্রের খবর এই তিন জনের মধ্যে কার নির্দেশি নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে তাও জানতে চায় আধিকারিকরা। আর সেই কারণেই জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই। শনিবার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
দিন দুয়ের আগেই স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মধ্য শিক্ষাপর্যদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। এবার তিন জনকে এক টেবিলে বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই।
কার নির্দেশে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছি? নিয়োগপত্র নিয়ে তাঁদের তিন জনের কী ভূমিকা ছিল? - এই দুটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই কর্তারা। সূত্রের খবর এই দুটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলেই স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছানো সম্ভব। আর এই দুটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া গেলেই জানা যাবে এই কাণ্ডে আর কোনও প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে কিনা।
সিবিআই সূত্রের খবর প্রথমে নিয়োগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তাতে নিয়োগ পত্রে সই ছিল শান্তিপ্রসাদের। বাগ কমিটির রিপোর্টেও শান্তিপ্রসানের দাম ছিল। কিন্তু তদন্ত শান্তিপ্রসাদ সিনহ অসহযোগিতা করছেন। আর সেই কারণের নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তিন মাথাকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে চায় তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর এখনও তেমনভাবে নিয়োগ দুর্নীতি বা কোটি কোটি টাকার উৎস নিয়ে মুখ খোলেননি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছেও অনেক তথ্য রয়েছে। আর সেই কারণেই তিন জনকে একই সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসাতে চাইছে সিবিআই।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাকে। তারপরই গ্রেফতার করা হল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তার বিরুদ্ধে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে। বাগ কমিটির একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, উপদেষ্টা কমিটি থেকেই নিয়োগের জন্য ভুয়ো সুপারিশ যেত। স্কুলে চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে। আর তারই শীর্ষপদে ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। উপদেষ্টা ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা।