সোমবার সন্ধেয় নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ১৭ অগাস্ট থেকে রাজ্যের সব কলকারখানায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সব কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে কর্মীদের করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণ এখন অনেকটাই কম। আর সেই কারণে মঙ্গলবার থেকে আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল থেকে রাজ্যের সব কলকারখানায় ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজের অনুমতি দিল নবান্ন। তবে শুধুমাত্র কলকারখানাই নয়, একই নিয়ম কার্যকর হবে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাতেও। এছাড়া মিউজিয়াম ও বিনোদন পার্ক খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ছাড় দেওয়া হলেও করোনাবিধি মেনেই সব কিছু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
সোমবার সন্ধেয় নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ১৭ অগাস্ট থেকে রাজ্যের সব কলকারখানায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সব কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে কর্মীদের করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাতেও এই নিয়ম কার্যকর হবে। পাশাপাশি সব জায়গাতেই করোনাবিধি মেনে চলতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও খুলে দেওয়া হচ্ছে মিউজিয়াম ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ সংগ্রহশালা এবং বিনোদনমূলক পার্ক খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। তবে সেখানে খুব বেশি সংখ্যক মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না। মাত্র ৫০ শতাংশ মানুষ জমায়েত করতে পারবেন। তবে করোনাবিধি মেনেই পার্ক বা মিউজিয়ামে যেতে হবে বলে নবান্নর তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- পাচারের আগেই সীমান্তে ধরা পড়ল পদ্মার ইলিশ, লক্ষাধিক টাকার মাছ উদ্ধার বিএসএফের
আরও পড়ুন- তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু গাড়ির চালকের
রাজ্যে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। কয়েকদিন আগেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিধিনিষেধ জারি থাকলেও একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন তিনি। বাস, অটো, টোটো, মেট্রো চলাচলের উপর ছাড় দিয়েছেন। তবে লোকাল ট্রেন চালু করার উপর এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এছাড়া রাজ্যের সব পানশালা ও রেস্তরাঁ খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাত ৮টার পরিবর্তে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এগুলি খোলা রাখান অনুমতি দিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়ে সিনেমা হল, থিয়েটার, মঞ্চ, সুইমিং পুল সবই খোলার উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর এবার ১০০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতিতে কাজের অনুমতি দেওয়া হল কারখানা ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়।