সংক্ষিপ্ত

পদ্মা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করানোর সময় উদ্ধার করা হল ট্রলার ভর্তি ২৫০ কেজির বেশি ইলিশ মাছ। সেগুলি বেশিরভাগই বাইরে বিক্রি করার জন্য আনা হচ্ছিল।

এতদিন কখনও মাদক, কখনও নানান ধরনের উন্নত মানের আগ্নেয়াস্ত্র সহ সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারী মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু, এবার সেই চেনা ছক ভেঙে বিএসএফের জালে ধরা পরল পদ্মার চোরাই ইলিশ মাছ। আর সেই ঘটনা ছড়িয়ে হতেই সোমবার বিকেলে ভোজনরসিকদের চোখ কপালে উঠেছে। সকলের মুখে এখন একটাই কথা, 'ইস অন্তত একবার মাছগুলোকে যদি দেখতে পাওয়া যেত, তাহলে চোখ জুড়িয়ে যেত।'

পদ্মা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করানোর সময় উদ্ধার করা হল ট্রলার ভর্তি ২৫০ কেজির বেশি ইলিশ মাছ। সেগুলি বেশিরভাগই বাইরে বিক্রি করার জন্য আনা হচ্ছিল। বাংলাদেশ থেকে মুর্শিদাবাদের দয়ারামপুরের দিকে কয়েকটি নৌকা আসতেই দেখে বিএসএফের সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি দয়ারামপুর ক্যাম্পের জওয়ানরা নৌকাগুলিকে ধাওয়া করে ওই ট্রলার ভর্তি মাছ উদ্ধার করে। এদিকে বিএসএফকে দেখেই সুযোগ বুঝে চম্পট দেয় পাচারকারীরা। 

আরও পড়ুন- দুয়ারে সরকার শিবিরে পুরুলিয়ার জেলাশাসক, সাঁওতালি ভাষায় প্রকল্পের ব্যাখ্যা স্থানীয়দের

আরও পড়ুন- 'লক্ষ্মীর ভান্ডার'-র ফর্ম নিতে হাজির ২০ হাজার জন, 'মারামারি-লুটপাট', উপস্থিত বিশাল পুলিশবাহিনী

বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। সেগুলি শুল্ক বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বর্ষার মরশুমে পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে ইলিশ এপারে আনার চেষ্টা করে। এইসময় চর থেকে আঁটি বেঁধে পাটগাছ এপারে আনা হয়। আঁটির মধ্যেও মাছ রেখে পাচার করা হয়। সেই কারণে এই সময় সন্দেহ হলেই পাটের আঁটির মধ্যেও তল্লাশি চালায় বিএসএফ। 

প্রসঙ্গত,বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা ইলিশের ক্রেতার অভাব নেই। স্বাদ ভালো হওয়ায় অনেক বেশি দামে তা বিক্রি করা হয়। স্থানীয় বাজারে আসামাত্রই তা বিক্রি হয়ে যায়। সেই কারণে পাচারকারীরা এই সময় ভারতে ইলিশ নিয়ে আসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বলে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের তরফে জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- কংগ্রেস ছাড়ার পর অভিষেকের অফিসে সুস্মিতা দেব, যোগ দিলেন তৃণমূলে

YouTube video player