ফণী থেকে যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বধ্যপরিকর রাজ্য সরকার এবার স্কুল ছুটি ঘোষণা করল। আগামী শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল।
বাড়তে পারে বিপদ। তাই আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল রাজ্য সরকার। ফণী থেকে যে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বধ্যপরিকর রাজ্য সরকার এবার স্কুল ছুটি ঘোষণা করল।
আগামী শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত স্কুল।
এদিন নানাভাবেই ফণী বুঝিয়ে দিচ্ছে তার আগমনের খবর। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে দীঘা থেকে মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। ফলে আগাম প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে চায় না রাজ্য প্রশাসন। দেখে নেওয়া যাক কী কী উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য প্ৰশাসনঃ
১ দীঘার উপকূলে মাইকিং করে স্নান করতে নামা পর্যটকদের সাবধান করা চলছে।
২ জোর কদমে কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। গঙ্গার ধারের লকগেটগুলিকেও নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা।
৩ জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে।
৪ প্রশাসন থেকে সমস্ত বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে হোর্ডিং খুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
৫ বাজার অঞ্চলগুলিতে চলছে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ।
৬ পাম্পিং স্টেশনে বহাল করা হয়েছে পুর ইঞ্জিনিয়রদের।
৭ দুই দিন ছুটি দেওয়া হল স্কুলগুলিও।
২০০৯ সালের মে মাসে আয়লার ধাক্কা ভোলেনি রাজ্যবাসী। ঝড়ের দাপটে কলকাতা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়ছিল সেবার।।পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে আয়লার প্রভাবে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হন। সারা দেশে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা ১,৫০,০০০-এর কাছাকাছি দাঁড়ায়। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতেই সতর্ক হয়ে কাজ করছে রাজ্য প্রশাসন।