বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলারই সিদ্ধান্ত নিল সরকার

Published : Oct 17, 2019, 02:54 PM IST
বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলারই সিদ্ধান্ত নিল সরকার

সংক্ষিপ্ত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশই মেনে নিল সরকার ভেঙে ফেলা হবে উত্তর কলকাতার টালা ব্রিজ  নতুন সেতু তৈরির আগে মাটি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত পূর্ত দফতরের মাটির পরীক্ষার জন্য জারি করা হল টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে উত্তর কলকাতার টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলারই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তবে নতুন সেতু তৈরির আগে আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পূর্ত দফতর। মাটি পরীক্ষার টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পিডব্লিউডি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হওয়ার পর ১৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।

গত বছর মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরই শহরের সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার। ধাপে ধাপে বেশ কয়েকটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার করেও ফেলেছে পূর্ত দপ্তর। অগাস্ট মাসে মেরামতির জন্য বেশ কয়েকটি শিয়ালদহ উড়ালপুলে যান চলাচল বন্ধ ছিল। যান নিয়ন্ত্রণ করা হয় উল্টোডাঙা উড়ালপুল, চেতলা লকগেট সেতু, অরবিন্দ সেতু-সহ কলকাতার একাধিক সেতু ও উড়ালপুলে। উত্তর কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত সেতু টালা ব্রিজে  সমস্যা ধরা পড়ে পুজোর ঠিক মুখে। সেতুটি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে রেলের সমীক্ষক সংস্থা রাইস। বস্তুত, টালা সেতু ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। আপাতত টালা সেতুতে বাস-সহ ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। টালা ব্রিজকে এড়িয়ে  ঘুরপথে অথবা অল্প দূরত্বে চলছে তেরোটি রুটের বাস  মিনিবাস।  কিন্তু বিকল্প সেতু তৈরি করার ঝক্কিও তো কম নয়।  তাই ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভিকে রায়নাকে দিয়ে ফের টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, দিন সেতু ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেও মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দেন সরকার নিযুক্ত ব্রিজ বিশেষজ্ঞও।  রিপোর্টে টালা ব্রিজে সাতটি জায়গাকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভেঙে পড়েছিল দক্ষিণ কলকাতার মাঝেরহাট সেতুর একাংশ। সেখানেও নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে।  ঘুরপথে যান চলাচল করছে দক্ষিণ কলকাতা-সহ শহরতলির একটি বড় অংশে।  

PREV
click me!

Recommended Stories

আমি সব দিক থেকে বাঙালি হতে চাই: কেন এমন কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখলের ৩০০০ অভিযোগ! আদালতে রিপোর্ট দিল CBI