আপাৎকালীন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমান ঘাঁটির সঙ্গে ব্যবহার করা হবে অসামরিক বিমানবন্দরগুলিকেও। ব্য়স্ত বিমানবন্দর থেকে তাই আগেভাগেই মহড়া শুরু করে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। বৃহস্পতিবার যার সাক্ষী থাকল কলকাতা বিমানবন্দর।
এ যেন এক অন্য চিত্র। সামরিক বিমানবন্দরে উড়ে চলেছে একের পর এক যুদ্ধ বিমান। বৃহস্পতিবার যা দেখে অবাক হলেন বিমানযাত্রীরা। পরে জানা গেল,অসামরিক বিমানবন্দরকে সামরিক কাজে লাগাতেই এই মহড়ার আয়োজন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। কলকাতা বিমানবন্দর ছাড়াও অন্ডাল, ডিমাপুর,ইম্ফল,গুয়াহাটি,ও পাশিঘাট বিমানবন্দরে ধাপে ধাপে হবে এই মহড়া। প্রথম পর্বে ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যুদ্ধবিমানের মহড়া চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্বে ১৯ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে এই মহড়া। চলবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। একইভাবে মহড়ার তৃতীয় পর্ব শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে। শেষ হবে ১৯ নভেম্বরে।
তবে কেন হঠাৎ এই মহড়া তা চিন্তায় রেখেছে রাজ্যবাসীকে। সূত্রের খবর,পূর্ব ভারতে ব্য়স্ততম বিমানবন্দর কলকাতা। সেক্ষেত্রে কোনও কারণে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিমান ওড়াতে চায় ভারতীয় বায়ুসেনা। সেকারণেই বুধবার উড়িয়ে আনা হয়েছে সুখোই -৩০ এমকেআই ও হক-১৩২ যুদ্ধবিমানগুলিকে। এদিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে এক অপরকে ধাওয়া করে এই বিমানগুলি।
দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে,জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর বার বার যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুখে প্রায়ই পরমাণু যুদ্ধের হুমকি শোনা গেছে। এমনকী ভারতের বুকে ফিদাঁয়ে হামলার কথাও বলেছেন ইমরান। সেরকম কিছুর জন্যে ইতিমধ্যেই তৈরি রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেকারণেই এই যুদ্ধবিমানের মহড়া চালানো হচ্ছে বলে অনুমান।