রাজ্যের পরপর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে বিবৃতি চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে,এমনটাই অভিযোগ তুলে এদিন বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা।
রাজ্যের পরপর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Home Minister, CM Mamata Banerjee) কাছে বিবৃতি চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্রমাগত ঘটে চলা রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ তুলে এদিন বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু পরপর দুই বিজেপি কর্মীকে খুনের কথা উল্লেখ করেন। পূর্ব মেদিনীপুরে কুন হওয়া চন্দন মাইতি এবং বিজেপি কর্মী ভাষ্কর বেরাকে খুনের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক খুনের অভিযোগে সামনে আনেন শুভেন্দু। শুধু খুনই নয়, মহিলা নির্যাতন বা ধর্ষণের কথা এদিন উল্লেখ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি ভাতারে এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করার ঘটনাও উল্লেখ করেন তিনি। এর পাশাপাশি খেঁজুরিতে কীভাবে তপসিলি পরিবারের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, তাও বলেন তিনি। রাজ্যে যে রাজনৈতিক খুন অব্যাহত, এবিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিবৃতি পেশের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারের তরফে এই সব ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে সেই অর্থে কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তাঁর দাবি, এখন তো আর নির্বাচন কমিশনের হাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেই। এখনও কেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ভগবানপুরে পরপর বিজেপি নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার বাসুদেববেরিয়া অঞ্চলের ১১৪ নম্বর খাটিয়াল বুথ এলাকায়। জানা গিয়েছে, এলাকার বিজেপির সক্রিয় কর্মী ভাস্কর বেরা কালীপূজা উপলক্ষ্যে মায়ের ঘট উত্তোলনের জন্য যাওয়ার সময় তৃণমূলের হার্মাদরা তাঁকে ফাঁকের দিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে । সেখানে পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে বিজেপির অভিযোগ।
আরও পড়ুন, Municipal Polls: অনিশ্চিত ১৯ ডিসেম্বরের পুরভোট, হাইকোর্টে কী জানাল কমিশন
জানা গিয়েছে, ওই কর্মী বুথের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের কাজ করছিলেন। খুনের পর খুন হচ্ছে, অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। নভেম্বের শুরুতে খুন হন বিজেপি কর্মী চন্দন মাইতি।বাড়ির অদূরেই ওই বিজেপি নেতার ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার করে প্রথমে তাকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতেই চন্দন মাইতিকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। কিন্তু নিতে নিতে সব শেষ। বিজেপি নেতার মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিকে পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী খুনে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। ওটা ওদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্বের ফল। কুণাল আরও বলেন, রাজ্য় বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের লড়াই চলছে। তার থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই।'
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে