কলকাতার কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা তারক পাল। পেশায় প্রাইভেট টিউটর। নেশা প্রকৃতি। প্রকৃতিকে রক্ষা করাই তার একমাত্র নেশা। তিন বছর ধরে সবুজ বাঁচাও এবং জল বাঁচাও এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মানুষকে সচেতন ও এই বার্তা নিয়ে সাইকেল নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন সারা ভারতবর্ষে। সাইকেলের সামনে এবং পিছনে রয়েছে প্লেকার্ড তাতে লেখা সেভ গ্রীন ও সেভ ওয়াটার।
আরও পড়ুন, পণের বলি অন্তঃসত্ত্বা বধু, চাঞ্চল্য় ছড়াল বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায়
সাইকেলের সামনে জাতীয় পতাকা নিয়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলা এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্য সাইকেল করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন প্রকৃতিকে বাঁচানোর বার্তা। পথচলতি মানুষ থেকে গ্রামের মানুষ সকলকেই সচেতন করছেন সবুজকে বাঁচানোর ও জলের অপচয় বন্ধ সহ প্রকৃতিকে রক্ষা করার নানান বার্তা। এই ভাবেই তিনি সাইকেল নিয়ে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত সাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পথে নেমেছেন তিনি। যেভাবে প্রকৃতির বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ জঙ্গল বনভূমি আগামী দিনে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলি মনে করছেন বছর পঞ্চাশের প্রকৃতিপ্রেমী তারক বাবু। শুধু প্রকৃতি ধ্বংস নয় যথেচ্ছভাবে জলের অপচয় আগামী দিনে জলের সংকট পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরছেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষটি। ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রকৃতিকে রক্ষা করা এবং জলের অপচয় বন্ধ করার দায়িত্ব সকলের সকলেই সচেতন হলে প্রকৃতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন, এগারোয় কলকাতায় একই মঞ্চে কি মোদী-মমতা, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
তাই বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে প্রকৃতিকে রক্ষা করার সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতেই সাইকেল করে প্রচারে নেমেছেন তারক বাবু। বছরের শেষ দিন এবং বছরের প্রথম দিন আর পাঁচটা মানুষ যেমন মেতে ওঠেন বর্ষবরণ উৎসবে। কিন্তু তারক বাবুর কাছে বর্ষবরণ উৎসব টা একটু ব্যতিক্রম। ডিসেম্বরের শেষেই কলকাতার কাঁচরাপাড়া নিজের বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে পরিবার পরিজন ছেড়ে তিনি বেরিয়েছিলেন বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুরে। মুকুটমণিপুর শুশুনিয়া এবং বাঁকুড়া ঘুরে বর্ষবরণ উৎসবের সময় তিনি মানুষের মধ্যে বার্তা দিলেন প্রকৃতিকে রক্ষা করার। প্রায় ১০ দিন ধরে বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে প্রকৃতিকে রক্ষা করার সচেতন ও তার মধ্য দিয়ে নতুন বছরে প্রকৃতিকে রক্ষা করার ডাক দিলেন তারক বাবু।