সংক্ষিপ্ত
- সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত মমতা
- রোজ তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন
- এই মুহূর্তে মোদীর সবচেয়ে বড় বিরোধীর তকমা মমতার
- এহেন দুই নেতা কি মুখোমুখি হবেন কলকাতায়, চলছে জল্পনা
কলকাতায় ফের এক মঞ্চে কি মোদী-মমতা। এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সিএএ ইস্যুতে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মতবিরোধ চরমে। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন বাংলায় কোনভাবেই কার্যকর করা হবেনা সিএএ। লাগাতার চলছে প্রতিবাদ, এমনকী সিএএ-এর বিরোধিতা করে রাজপথেও নেমেছেন মমতা।
এমত অবস্থায় পোর্টট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১১ জানুয়ারি কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা। সিএএ উদ্ভুত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া নিয়ে আপাতত রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে।
পোর্টট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষেই প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন। আগামী ১০ জানুয়ারি কলকাতায় আসবেন মোদী। ১১ জানুয়ারি পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীরও। যদিও, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকলে নাগরিক সংশোধনী আইন নিয়ে কী ধরনের মত বিনিময় হয় আপাত ভাবে ১১ জানুয়ারীকেই তাই পাখির চোখ করছেন দেশের তাবড় রাজনৈতিক নেতারা।
কলকাতায় নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজনে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে যাতে কোনও একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে মরিয়া রাজ্য বিজেপির নেতারা। যদিও সূত্রের খবর ১১ জানুয়ারি পোর্টট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগদান করে ওই দিনই দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি।