সংক্ষিপ্ত
- অন্তঃসত্ত্বাকে খুন করার অভিযোগ উঠল,শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
- অভিযোগ, পণের টাকা দিতে না পারায় ওই গৃহবধূকে খুন করা হয়
- এমনকি মরে যাওয়ার পরেও পাপিয়ার পরিবারকে জানানো হয়নি
- তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ
পনের বলি হলেন অন্তঃসত্ত্বা বধু। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়াল বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকায়। বছর উনিশের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ পাপিয়া মন্ডল কে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী শাশুড়ি শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর পাপিয়া বাবা শংকর মন্ডল, মৃতার স্বামী বিল্টু মণ্ডল সহ শ্বশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, কুয়াশার দাপটের সঙ্গে ফিরছে বৃষ্টি, জাঁকিয়ে শীত এখনই নয়
গত ১১ মাস আগে ন্যাজাট থানার ঘুটিয়ারি গ্রামের বাসিন্দা শংকর মন্ডল এর মেয়ে পাপিয়া মন্ডল এর সঙ্গে বিবাহ হয়। হিঙ্গলগঞ্জ স্বরূপকাঠি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় মোটর মেকানিক বিল্টু মণ্ডলের সঙ্গে। বিয়ের সময় সাধ্যমত সোনার গয়না আসবারপত্র নগদ ৫০,০০০ টাকা দিয়েছিল জামাইকে। বিয়ের পর থেকে আরও বেশি বাপের বাড়িতে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হয় বধূকে। এমনকি ওই গৃহবধূ পাপিয়াকে মানসিক যন্ত্রণা এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সন্তান নিতে চাইলে বধু পাপিয়া সেটাও বাধা দেয় বলে অভিযোগ, স্বামী শ্বশুর বাড়ির লোকে বিরুদ্ধে। এমনকি বাপের বাড়িতে আসতে নিষেধ করে ওই বধূকে। ফোনে শারীরিক মানসিক অত্যাচারের পুরো ঘটনাটাই পাপিয়া তার বাবাকে বারবার জানাতে থাকে।
আরও পড়ুন, নৈহাটিতে পুলিশি তল্লাশিতে মিলল বিপুল পরিমানে বিস্ফোরক, আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন স্থানীয়রা
এরপরই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকায়। শেষবারের মতো ৩0,000 টাকা চেয়েছিল পাপিয়ার স্বামী বিল্টু। এবং দিতে না পারায় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে রাখে বলে অভিযোগ। এমনকি পাপিয়া মন্ডল মরে যাওয়ার পরেও তার পরিবারকে জানানো হয়নি। প্রতিবেশীর কাছে খবর পেয়ে তার পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, তাদের মেয়ে দরজার সামনে পড়ে আছে। বিংশ শতাব্দীতে এসে এখনও পণপ্রথার বলি হচ্ছে গৃহবধূরা, তার জ্বলন্ত উদাহরণ পাপিয়া মন্ডল।