সেঁজুতি দাস:- থিম আর সাবেকির যুগলবন্দিতে তৈরি হচ্ছে এবারের ঠাকুরপুকুর এস বি পার্কের দুর্গাপুজো। শিল্প ভাবনা শিল্পী পার্থ দাশগুপ্তের। গত বছর থেকে এই ক্লাবের পুজোর সঙ্গে যুক্ত তিনি। পুজো প্যান্ডেলে রয়েছে থিমের ছোঁয়া। এবার ক্লাবের প্রাক সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের থিম 'আবাহনে আলপনা'। চিরাচরিত আলপনার থেকে এই আলপনা একটু আলাদা। এই আলপনায় যেমন রয়েছে শান্তিনিকেতনের আল্পনার ছাপ, তেমনি রয়েছে ত্রিমাত্রিক রূপ। লোহার পাত ব্যবহার করে আলপনা তৈরি করা হচ্ছে। লোহার পাতের আলপনায় মোড়া হচ্ছে গোটা প্যান্ডেল।
দেখে নিন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
এই কাজের জন্য চল্লিশ টন লোহা আনা হয়েছে রাজাবাজার, হাওড়া আর আমেদাবাদ থেকে। ডায়মন্ড হারবার রোডের ঠিক ধারেই লোহার প্যান্ডেল, তাই নিরাপত্তার দিকে থাকছে বাড়তি সতর্কতা। প্যান্ডেলের কাঠামো মজবুত করতে আট--দশফুট গভীর ভিত তৈরি করা হয়েছে। শিল্পী পার্থ দাশগুপ্তের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন, বিশ্বভারতীর কলাবিভাগের অধ্যাপক সুধীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়, কলকাতা গভঃ আর্ট কলেজের প্রাক্তনী শৌভিক দাস, শতদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, অভীক বড়াল এবং দুই শিক্ষানবিশ অর্ঘ্যদীপ মন্ডল ও শুভজিৎ মন্ডল। সঙ্গে কাজ করছেন ৩৭ জন কারিগর।
আরও পড়ুন- অভিনব ভাবনায় মাতৃ বন্দণায় সামিল হচ্ছে লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ
প্যান্ডেলে থিমের ছোঁয়া থাকলেও মৃন্ময়ী মা এখানে পুরোপুরি সাবেকি। শিল্পী নিজেই মূর্তি তৈরি করেছেন। লোহার কাঠামোর ওপরে মাটির মূর্তি বানানো হয়েছে। সেই মূর্তি ইতিমধ্যেই হাজির প্যান্ডেলে। পুজোর বাজেট ৬০ লক্ষ টাকা। উদ্বোধন তৃতীয়াতে। তবে কোনও সেলব্রিটিকে দিয়ে পুজোর উদ্বোধন করাতে নারাজ ক্লাব কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের মহারাজ, আর্ট কলেজর শিক্ষক। মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্থানাধিকারী কৃতী দুঃস্থ ছাত্রকেও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়া তৃতীয়া থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত দর্শকদের জন্য থাকছে দুর্ঘটনা বীমা, বয়স্কদের জন্য রেস্ট রুম এবং বেবি কেয়ার রুম। সব মিলিয়ে নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের পুজো দেখতে পাবেন আমজনতা।