করোনা আতঙ্কের মধ্য়েই শেষকৃত্য় সম্পন্ন হবে পিকে বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। হাসপাতাল থেকে সন্ধে ৬টার মধ্য়েই পৌঁছাবে পিকে বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাসভবনে। সন্ধে ৬টা থেকে ৭টা অবধি মরদেহ শায়িত থাকবে। তারপর ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে নিমতলা মহাশ্মাশানের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে যাওয়া হবে। রাত ৮টা নাগাদ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য় সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন, ভারতীয় ফুটবলে যুগের অবসান, প্রয়াত কিংবদন্তী পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়
সূত্রের খবর, শেষকৃত্য়ের পুরো দায়িত্বভার নেবে রাজ্য় সরকার। যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, চারিদিকে করোনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই একই সঙ্গে পিকে বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অন্তিম প্রয়াণে বহু মানুষের জমায়েত ঠিক নয়। তাই প্রিয় ভোকাল টনিক কোচের প্রয়াণ হলেও সবাই যেনও করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রাখেন। পারলে মানুষকে দূর থেকে সম্মান জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন,মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস।করোনা সংক্রমণের মাঝে এই পরিস্থিতিতে আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে। ফলতঃ ভারতের কিংবদন্তি ভোকাল টনিক কোচের প্রয়াণেও কার্যত থাবা বসিয়ে দিল করোনা।
আরও পড়ুন, আরও ১ করোনা আক্রান্ত কলকাতায়, ভয়ে কাঁপছে মহানগর
উল্লেখ্য়, ভারতীয় ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্য়ুর আগে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। নিউমোনিয়া, পারকিনসন সহ একাধিক রোগ ঘিরে ধরেছিল পিকে বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের শরীরে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। সেই থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার ওঠানামা চলেছে। সোমবার বিকেলের পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শুরু হয়েছিল শ্বাসকষ্ট। যার দরুণ কোনও ওষুধই কাজ করছিল না। কিডনি সচল রাখার জন্য ডায়ালিসিস চললেও তার শরীর আর নিতে পারছিল না। আজ শুক্রবার দুপুর দুটো আট মিনিটে শেষ হয়ে গেল তাঁর লড়াই। তাঁর প্রয়াণে ময়দানে নেমে আসে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন, শপিং মলে যায়নি ছেলে, মুখ খুললেন করোনা আক্রান্তের বাবা