গত ২২ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টালা সেতুর উদ্বোধন করেন। নবনির্মিত সেতু খোলা হলেও তখনই সেই সেতুতে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে ধাপে ধাপে প্রথমে ছোট গাড়ি বাইক, স্কুটার, প্রাইভেট গাড়ি, অ্যাপ ক্যাব ট্যাক্সি ইত্যাদি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তারপর দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ চতুর্থীর দিন থেকে বড় গাড়ি ও বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
মহালয়ার দিনই সুখবর শোনাল রাজ্য পূর্ত দফতর। পুজোর আগেই নবনির্মিত টালা সেতুতে চলবে বাস। সূত্রের খবর চতুর্থীর দিন থেকেই টালা সেতুতে বাস চলতে শুরু করবে। ২২ সেপ্টেম্বর টালা সেতুর উদ্বোধনের ৪৮ ঘন্টা পর থেকেই যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু তখনও বড় গাড়ি বা বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবার চতুর্থীর দিন থেকে টালা ব্রিজে বাস চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতর।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টালা সেতুর উদ্বোধন করেন। নবনির্মিত সেতু খোলা হলেও তখনই সেই সেতুতে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে ধাপে ধাপে প্রথমে ছোট গাড়ি বাইক, স্কুটার, প্রাইভেট গাড়ি, অ্যাপ ক্যাব ট্যাক্সি ইত্যাদি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তারপর দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ চতুর্থীর দিন থেকে বড় গাড়ি ও বাস চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
সেতু উদ্বোধনের পর বড় গাড়ি বাস উঠতে না দেওয়য় শহর ও শহরতলীর বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্ট ধন্দ তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে পুজোর আগে ছাড়পত্র মিলবে না। তবে শহরবাসীর চিন্তা ঘুঁচিয়ে মহালয়ার দিনই টালা সেতুতে যান চলাচলে ছাড়পত্রে দিল রাজ্য পূর্ত দফতর।
আরও পড়ুন - কলকাতা মেট্রোয় এবার চিনের ডালিয়ান রেক, দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া লাইনে শুরু হল ট্রায়াল রান
এর আগে মহালয়ার মধ্যে সম্পূর্ণরূপে টালা ব্রিজ চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। পূর্ত দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ বলে জানানো হয়েছে নির্মাণকারী সংস্থার তরফে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ টালা সেতু হস্তান্তর করার হবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া প্রায় অসম্ভব হয় দাঁড়ানোয় এই দিন পিছিয়ে ২৪ তারিখ করা হয়। তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২৫ তারিখই মহালয়। এই দিনই নতুন করে তৈরি হওয়া টালা সেতুর উদ্বোধন হবে বলে আশা করছেন একালাবাসী ও বেশ কিছু পুজো কমিটির সদস্যরা। তবে ২৪ তারিখ থেকে যান চলাচল শুরু হলেও মহালয়ার দিন উদ্বোধনের বিষয় এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এবিষয় প্রশাসনিক বৈঠক হতে চলেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - শুভেন্দু বনাম কুণাল, তরজায় অভিষেকের 'বিনয় মিশ্রের সঙ্গে কথা বলার অডিও টেপ'
শনিবার কাজের হিসাব খতিইয়ে দেখতে গিয়ে জানা যায় প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই শেষ হয়ে এসেছে। বাকি বলতে শ্যামবাজারের দিক থেকে টালা সেতুর দিকে আসার পথে বাঁ পাশে জলের পাইপলাইনের কাজ, বেশ কয়েক মিটার মেঝের কাজ, এছাড়া বাতিস্তম্ভ বসানো ইত্যাদি। মোট কাজ হয়েছে ৯৫০ মিটার, সেতুটি লম্বায় চেড়েছে ১৫০ মিটার। নির্মাণ সংস্থার দাবি বৃষ্টির জন্য একাধিকবার বাধার মুখে না পড়তে হলে অনেক আগেই কাজ শেষ হয় যেত। দ্রুত কাজ শেষ করতে গত সপ্তাহেই নতুন করে আরও কয়েকশো শ্রমিককে কাজে লাগানো হয়েছে।