তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা। কাঠগড়ায় বিজেপি। কামারহাটি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের উপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার সকাল অবধি এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। গেরুয়া শিবিরের দিকেই আঙুল তুলেছেন কামারহাটি বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার বিকেলে কোভিড বিধি মেনে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ, পুনর্গণনা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ BJP প্রার্থী
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ কামারহাটি বিধানসভা এলাকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ে বসেছিলেন কর্মীরা। আচমকাই ৭ থেকে ৮ টি বাইক এসে জড়ো হয়য় কার্যালয়ের সামনে। অভিযোগ, বাইক থেকে নেমে এক জোটে দুষ্কৃতিরা ঢুকে পড়েন তৃণমূল কার্যালয়ে। এরপরেই শুরু হয় হামলা। তৃণমূল কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে দুষ্কৃতিরা। চলে হামলা। এদিকে আচমকা গুলিবর্ষণে আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসেন এলাকাবাসী। খবর পৌছতেই ঘটনাস্থলে পৌছন কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক মদন মিত্র। বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গুলিবিদ্ধি হয়েছেন তৃণমূল কর্মী মানস বর্ধন। রবিবার সকাল অবধি এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
তৃণমূল কর্মীদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, গোষ্ঠী দ্বন্ধের জেরে এই ঘটনা হয়নি। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, বিজেপি বুঝতে পেরেছে উত্তর ২৪ পরগণা থেকে তাঁরা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পার্টির মধ্যে কত গুলি দালাল তৈরি করেছে বিজেপি। সেই দালালগুলিকে দিয়ে পয়সা খাইয়ে একাজ করাচ্ছে। কিছু ২ পয়সার মদ্যপ ক্রিমিনাল ঢোকাচ্ছে এলাকায়। রোজ রাতে মস্তান ঢুকছে। আমরা পড়ার মোড়ে মোড়ে গার্ড দেব। দেখি কে ঢোকে এবার।' অপরদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মদন মিত্রের লোকই এমনটা করেছে। কারণ ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সব জায়গায় গন্ডোগোল শুরু হয়েছে গিয়েছে। গুলি-গোলা নিজেদের মধ্যেই চলছে। ওটাই তৃণমূলের সংষ্কৃতি। বিজেপি এই সংষ্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়।'