চার্জশিটে নাম রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব সহ মোট আট জনের। সুশান্ত দাস, শান্তনু মান্না, শারদ পাত্র, অরবিন্দ বৈদ্য, অশোক কুমার রায়, রবিন সিকদার ও কাঞ্চন দে।
কসবার ভুয়ো টিকাকাণ্ডে আজ আলিপুর আদালতে ১০০০ পাতার চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ। ঘটনার ৬৪ দিন পরে চার্জশিট পেশ করা হল। চার্জশিটে নাম রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব সহ মোট আট জনের। সুশান্ত দাস, শান্তনু মান্না, শারদ পাত্র, অরবিন্দ বৈদ্য, অশোক কুমার রায়, রবিন সিকদার ও কাঞ্চন দে। ৪৫টি সিজার লিস্ট জমা পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন ১৩০ জন।
গত জুন মাসে কসবার একটি টিকাকরণ শিবিরে জাল টিকা দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপরই গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে। তাঁকে গ্রেফতার করার পরই বিশাল চক্রের হদিশ পান গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালানো হয়েছিল তাঁর বাড়ি ও অফিসেও। সেখান থেকে একাধিক জাল নথি উদ্ধার করা হয়। পাওয়া গিয়েছিল ভুয়ো টিকার প্রচুর শিশিও। সেখান থেকে কোভিশিল্ড লেবেল দেওয়া ১২০টি ভায়াল উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই লেবেল ওঠানোর পরই তার নিচে থেকে বেরিয়ে আসে অ্যামিকাসিন ৫০০ লেখা স্টিকার। তাতেই সন্দেহ হয়েছিল তদন্তকারীদের। কোভিশিল্ডের নাম করে দেবাঞ্জন অন্য কোনও ইঞ্জেকশন দিয়েছিল বলে অনুমান করেছিলেন তাঁরা। এরপরই রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয় যে কোভিশিল্ডের নাম করে আদতে অ্যামিকাসিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল কসবার ওই টিকাকরণ কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কেটেছে জট, শক্তিশালী দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু এসসি ইস্টবেঙ্গলের
তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রায় প্রতিদিনই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কোনও না কোনও নতুন তথ্য পেতেন তদন্তকারীরা। এরপর দেবাঞ্জনকে জেরা করে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই ঘটনার ৬৪ দিন পর চার্জশিট পেশ করা হল। দেবাঞ্জন-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুনের চেষ্টা, প্রতারণা, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ধারা-সহ মোট ১৪টি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন- দলীয় সদস্যদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত, 'ষড়যন্ত্র'-এর অভিযোগ রতুয়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের
আরও পড়ুন- ২ শিক্ষিকার শরীরে বিষের মাত্রা বেশি, রিপোর্ট ফরেনসিক দলের
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে আজ আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৭১, ৪৭৪, ৪৬৭, ৩০৭, ২৭৫, ২৭৬, ১৭০ ধারা এবং মহামারী আইনের ৫১বি ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। এছাড়া সাক্ষীদের তালিকায় রয়েছে সিটের সদস্যরাও। চার্জশিটে অ্যামিকাসিন ইঞ্জেকশনের কথা উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা।