চিড়িয়াখানার কর্মী সংগঠনের দখল নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে গেল পরিস্থিতি। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যে, বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়, শেষ অবধি পুলিশকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
চিড়িয়াখানার কর্মী সংগঠনের দখল নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে ( TMC BJP Clash) উত্তপ্ত হয়ে গেল পরিস্থিতি। কোভিড বিধি লঙ্ঘন করেই চিড়িয়াখানার সামনে উপস্থিত প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা।এরপরেই দুইপক্ষের মধ্য়েই খণ্ডযু্দ্ধ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যে, বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়। তবে শেষ অবধি পুলিশকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন। জোর করে চিড়িয়াখানার কর্মী সংগঠনের অফিস থেকে বিজেপির পতাকা নামিয়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে জানিয়েছে যে, আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo) আজ থেকে তাঁরা ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেছে।
জানা গিয়েছে, এতদিন বিজেপির রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বে সংগঠন ছিল। সেখানে তাঁর গোষ্ঠী গোটা ইউনিয়নের কাজ চালাতো। সোমবার আচমকাই সেই ইউনিয়নের আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে কোভিড বিধি শিকেয় তুলে একত্রিত হন। খবর পেতেই সেখানে পৌছন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দুই পক্ষ সামনাসামনি হতেই রণক্ষেত্র হয়। এরপরেই তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী শিবিরের কর্মীরাও।এরপরেই চিড়িয়াখানা চত্ত্বরে তুলকালাম শুরু হয়। অভিযোগ, কিছুক্ষণ আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা এসে পুলিশের উপস্থিতিতে জবরদস্তি চিড়িয়াখানার মধ্যে প্রবেশ করে চিড়িয়াখানার সাংগঠনিক দখল করে।
আরও পড়ুন, 'নেতাজি ভক্তি তৃণমূলের নাটক, তামিলনাড়ু-পশ্চিমবঙ্গ সব এক', IAS ক্যাডার ইস্যুতে তোপ দিলীপের
অপরদিকে কোভিড বিধি উপেক্ষা করে চিড়িয়াখানা চত্ত্বরে জমায়েতের খবর শুনতেই ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে জখম হন এক মহিলা পুলিশ কর্মী সহ বেশ কয়েকজন। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা জোর করে চিড়িয়াখানার গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এরেপরেই ইউনিয়ন অফিস থেকে বিজেপির পতাকা খুলে নেয়। আর তারপরেই দলীয় পতাকা টানিয়ে দেয় তৃণমূল। বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগতদের নিয়ে এসে ইউনিয়নের জবরদখল নিয়েছে। কিন্তু কর্মীরা সকলেই বিজেপির ছত্রছায়ায় রয়েছেন। ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি রাকেশ সিংহের।
অপরদিকে তৃণমূল নেতার বলেছেন, বিজেপি এতদিন ইউনিয়নের নামে তোলাবাজি গুন্ডমী করে এসেছে। আজ থেকে এসব আর চলবে না। ট্রেড ইউনিয়নের বহু নেতা কর্মীই তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। তাই আজ থেকেই তৃণমূলই সংগঠন চালাবে। রাকেশ সিং যদি পালটা দখল নিতে আসেন, তাহলে তার ফল তাঁকে ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ওই তৃণমূল নেতা। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, রাকেশ সিংহের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ইউনিয়নের অনেক কর্মী আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন জানান। আমরা অনুমোদন দিই। এরপর থেকেই আমাদের কর্মীরা সেখানে গিয়ে সংগঠন খুলেছেন। এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া আমরা খুব শীঘ্রই সেরে ফেলব, বলে জানান তিনি।