ভোট মেটার পর থেকেই দুর্যোগের মেঘ ঘনিয়েছে তৃণমূলের কপালে। এক ধাক্কায় ১৮ টি আসন চলে গিয়েছে বিজেপির হাতে। সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ পুড়েছে। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অ্যাডভাইসারি নোট পাঠিয়েছে রাজ্যকে। সেই ঘটনা স্তিমিত হওয়ার আগেই ঘুম কেড়েছে চিকিৎসকদের আন্দোলন, এবারও অভিযোগের তির তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে। মোটামুটি ব্যাকফুটে চলে যাওয়া তৃণমূল আপাতত চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের মধ্যে অক্সিজেন সঞ্চার করতে।
শনিবার এই মর্মেই ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে বার্তা দিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত যুব তৃণমূলের বৈঠক হলেও গুরুত্ব বুঝতে পেরেই এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসুরা।
আরও পড়ুনঃ মমতার দাবিকে নসাৎ করে আলোচনার আহ্বান
আপাতত সিদ্ধান্ত বয়েছে, এই জমায়েতে রেকর্ড ভীড়ের লক্ষ্যে এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই লক্ষ্যকে সুনিশ্চিত করতে চলবে টানা প্রচার। ২১ জুন থেকে শুরু হবে জনসংযোগ যাত্রা। ৮০ হাজার বুথে ২০ টি করে পতাকা লাগানো হবে। তৈরি হবে শহিদের ছবি দিয়ে হোর্ডিং। জেলায় জেলায় হবে প্রস্তুতি সভা। সেই সভায় বক্তা হিসেবে থাকবেন শীর্ষনেতারা।
অনেকটা সিপিএম-এর ধাঁচেই শুদ্ধিকরণের দিকে এগোচ্ছে তৃণমূল। লক্ষ্য একটাই, যারা ভুল বুঝেছে,দূরে চলে গিয়ছে, তাঁদের বিনীত ভাবে ফের দলে টেনে আনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোকাল টনিকে দলীয় কর্মীরা যাতে উজ্জীবীত হয়ে বাড়ি ফেরে, তাই সুনিশ্চিত করতে মরিয়া তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। একই সঙ্গে রয়েছে শক্তি প্রদর্শনের মধ্যে প্রধান বিরোধীদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টাও।