রোগীকে বাঁচাতে রক্ত চাই, দিলেন সেই জুনিয়র ডাক্তাররাই

 

  • পরিত্রাতা সেই জুনিয়র ডাক্তারই
  • রোগীকে বাঁচাতে রক্ত দিলেন তিন আন্দোলনকরী।

arka deb | Published : Jun 16, 2019 7:12 AM IST / Updated: Jun 16 2019, 12:46 PM IST


সারা রাজ্য জুড়ে যখন আন্দোলনের কারণে চিকিৎসক মহল সমালোচনার মুখোমুখি, তখন আরও একবার মানবিক মুখ তুলে ধরল কেপিসি কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। শনিবার নিজেরা রক্ত দিয়ে তাঁরা প্রাণ বাঁচালেন মুমূর্ষু রোগীদের।

পেশায় কাঠমিস্ত্রি আমিন  আলির স্ত্রী  থ্যালাসেমিয়ার বাহক স্ত্রী  নাসিমা লস্কর দিন কয়েক আগে এক মৃতশিশুর জন্ম দেন। চিকিৎসকেরা দেখেন তাঁর জরায়ুতে সংক্রমণ রয়েছে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এসে ঠেকেছে ৭.৫ এ। তখনই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁর জরায়ু বাদ দেবেন। কিন্তু রক্ত ছাড়া সেই অপারেশন সম্ভব ছিল না। কিন্তু কী ভাবে তড়িঘড়ি জোগাড় হবে রক্ত? খবর ছড়াতেই এগিয়ে আসেন তিনজন জুনিয়র চিকিৎসক। চিন্ময় শর্মা, সৌরভ ঘোষ, ইন্দ্রদীপ সাহ কেপিসি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দেন। তার পরে সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে নাসিমা লস্করের অপারেশন। 

গোটা ঘটনায় অভিভূত আমিন আলি। এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, 'চারপাশে এত ঝামেলার মধ্যেও আমার পরিবারকে রক্ষা করলেন জুনিয়র ডাক্তাররাই। আমি এই চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনাকে ধিক্কার জানাই।'

গোটা অপারেশনের তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসক রঞ্জন বসু গর্বের হাসি হাসছেন। তাঁর কথায়, "আমার ছাত্ররা নিজেদের দাবিদাওয়ার আন্দোলনের মধ্যেও তাঁরা রোগীর পাশে দাঁড়াতে  দু'বার ভাবেননি।" 

প্রসঙ্গত সারা রাজ্য জুড়েই নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ করে প্রতিবাদ জারি রেখেছেন  হাসপাতালগুলির সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকেরা। গণ ইস্তফা দিয়েছেন বহু বরিষ্ঠ চিকিৎসকও। গত সোমবার এনআরএস-এ পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের নিগ্রহের পরে শুরু হওয়া আন্দোলন ছয় দিনে পড়ল। এখনও সমাধানসূত্র খুঁজে পায়নি প্রশাসন। 

Share this article
click me!