পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মেনেই রবিবার ত্রিপুরায় পৌঁছালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যে জনসংযোগে নতুন করে জোর দিতেই অভিষেকের এই সফর বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
বছরের শুরু থেকেই একাধিক রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে নতুন করে মন দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এমতাবস্থায় এবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মেনেই রবিবার ত্রিপুরায়(Tripura) পৌঁছালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়(Trinamool All India General Secretary Abhishek Banerjee)। রাজ্যে জনসংযোগে নতুন করে জোর দিতেই অভিষেকের এই সফর বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের(Political experts)। এদিকে রবিবার সকালে আগরতলা বিমানবন্দরে(Agartala Airport) পৌঁছাতেই অভিষেককে স্বাগত জানাতে সেখানে হাজির হয়ে যান ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির(Tripura State Committee) শীর্ষ স্তরের তৃণমূল নেতারা। দেওয়া হয় বিশেষ সংবর্ধনা। এদিন এয়ারপোর্টে নামার পরেই রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে পুজো দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা সুস্মিতা দেব। অন্যদিকে ত্রিপুরায় পুরভোট পর্ব মেটার পর এই প্রথম ত্রিপুরায় গেলেন অভিষেক। আগামীতে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তর বিন্যাস(TMC organizational level structure) নিয়েও এদিন রাজ্য স্তরীয় নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের কথা রয়েছে অভিষেকের।
এদিকে ২০২০-র শেষ বেলায় অভিষেক গিয়েছিলেন গোয়ায়। সেখানে লাগাতার কর্মসূচি, জনসংযোগ মূলক কাজের পর ফিরে আসেন কলকাতায়। এবার নতুন বছর পড়তে না পড়তেই তিনি পা দিলেন বিপ্লব গড়ে। তা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে ত্রিপুরা সহ এরাজ্যের রাজনৈতিক মহলেও। এমনকী চর্চা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তবে অভিষেকের ত্রিপুরা সফর নিয়ে কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি এ রাজ্যের পদ্ম নেতারা। তবে এতদিন ত্রিপুরায় আগরতলায় সন্নিহিত এলাকায় একাদিক কর্মসূচি নিলেও ত্রিপুরায় জেলাগুলিতে বিশেষ যেতে দেখা যায়নি অভিষেককে। তবে এবারের সফরকালে তাঁকে দেখা যাবে জেলাতেও। সেখানে ভোটচলাকালীন বিজেপি-র হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। আক্রান্ত দলীয় কর্মী-নেতাদের মনোবল চাঙ্গা করতেই অভিষেকের এক পদক্ষেপ বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন-বাংলার পর মমতার নজরে দিল্লি জয়, জন্মদিনের আবহে ফিরে দেখা ‘দিদির’ রাজনৈতিক উত্থান
এদিনই আবার এক এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজেরও কথা রয়েছে অভিষেকের। এই ইস্যুতেই অভিষেকের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, তারা প্রচার কৌশলকেই টুকে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছেন তিনি। এদিকে এদিনই সাংবাদিক বৈঠকেও বসার কথা রয়েছে অভিষেকের। এদিনই আবার ত্রিপুরার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন করবেন তিনি। পাশাপাশি তিনিই রাজ্যের আদিবাসী মঞ্চের তরফে অভিষেককে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেও যাবে অভিষেক। এদিকে পুরভোটের পর ত্রিপুরায় তৃণমূলের লক্ষ্য যে ২০২৩ সালের ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। টার্গেট নিশ্চিত করতেই তাই এখন থেকে প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে রাজি নয় বাংলার শাসকদল। এমনকী তাদের এও দাবি, পুরভোটে মানুষের জনসমর্থনে যে অক্সিজেন পেয়েছে দল তাই ২০২৩-র মঞ্চে তৃণমূল কর্মীদের মনোবল অনেকটাই বাড়াবে।