গভীর রাতে আচমকাই বুকে ব্যাথা, ফের কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি হলেন অনুব্রত মন্ডল

ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন অনুব্রত মন্ডল। বুধবার গভীর রাত থেকে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন বীরভূমের জেলা  তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।  এরপর বৃহস্পতিবার বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অনুব্রত মণ্ডল। 

Web Desk - ANB | Published : May 12, 2022 5:13 AM IST / Updated: May 12 2022, 04:17 PM IST

ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন অনুব্রত মন্ডল। গভীর রাত থেকে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন বীরভূমের জেলা  তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এরপর বৃহস্পতিবার বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অনুব্রত মণ্ডল। শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে তাঁর। রিপোর্ট দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা। উল্লেখ্য, এদিকে তার মাথার উপর ঝুলছে গরুপাচারকারী মামলা-সহ ভোট পরবর্তী মামলা। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই তদন্তকারীদের তলব আসতেই অসুস্থ হয়ে সোজা এসএসকম-এ ভর্তি হন। উডবার্ণে ১৭ দিন কাটানোর পর বাড়ি ফেরেন। তবে সেটা এবার দীর্ঘ স্থায়ী হল না।

 আরও পড়ুন, 'মেট্রো রেল দায়ী নয়, তৃণমূলের নেতারাই প্ল্যান বদলে দিয়েছিলেন', বউবাজারকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ

জানা গিয়েছে,  বুধবার গভীর রাত থেকে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন বীরভূমের জেলা  তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বৃহস্পতিবার বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অনুব্রত মণ্ডল। তাই তার হার্টে ব্লকেজ তৈরি হয়েছে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকেরা। এছাড়াও তার সুগার এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়েও উদ্বিগ্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই কেষ্টর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। তার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন চিকিৎসকেরা। উল্লেখ্য, এর আগে অণ্ড কোষের সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তবে মাঝে শোনা যাচ্ছিল তিনি নাকি বেশ অসুস্থ। আর তার মাঝেই ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে শরীর খারাপের মূলে কি সিবিআই-ইডি জুজু, তা নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি কেষ্টর চিনার পার্কের বাড়িতে এসেছিলেন তার আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ।  

আরও পড়ুন, অভিষেককে কেন কলকাতায় জেরা নয় ? ইডি-কে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

এদিকে অনুব্রতের হাসপাতালে হওয়া নিয়ে সম্প্রতি কটুক্তি করে ভর্তি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'হয় অনুব্রতকে সারাজীবন হাসপাতালে থাকতে হবে নয়তো জেলে। অনুব্রত জেলে থাকলে ঠিক আছে। নিরাপদে থাকবেন। হাসপাতালে থাকলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অনুব্রত অনেক মামলা অভিযুক্ত। একটা চাবি হারিয়ে ফেললেই হল। তাই তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য ওকে মেরে ফেলা হতে পারে।' তবে দিলীপ ঘোষই নন, এর আগে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিলেন বিজেপির বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি বলেছিলেন, 'আমার মনে হয়  অনুব্রত মণ্ডল ফিরতে পারবেন না।ফিরলেই ওনাকে সিবিআই-র কাছে যেতে হবে। আর ওখানে গেলে সবার সব কিছু ফাঁস হয়ে যাবে। আমার মনে হয় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইনজেকশনে উডবার্ণ ওয়ার্ডেই মরতে হবে ওনাকে।'
 

  আরও পড়ুন, 'যিনি আমাকে হারানোর চেষ্টা চালিয়েছেন, এখন আমি তাঁরও বিধায়ক', শপথ নিতে এসে খোঁচা বাবুলের

Read more Articles on
Share this article
click me!