বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনে মোদীকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন মমতা , প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রন গ্রহণও করেছেন বলে দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। আর এই দাবিতেই ছেদ ঘটিয়ে সন্দেহের বীজ জনসমক্ষে এনেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনের (Bengal Business Summit) উদ্বোধনে মোদীকে (Narendra Modi) আমন্ত্রন জানিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee) । প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রন গ্রহণও করেছেন বলে দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। আর এই দাবিতেই ছেদ ঘটিয়ে সন্দেহের বীজ জনসমক্ষে এনেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
বৃহস্পতিবার দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,' বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আদৌ প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন কিনা, আসবেন কিনা, সেটা প্রমাণ সাপেক্ষ। মুখমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে এই তথ্য দিয়েছেন। ভিতরের কথা কী আর আমরা জানি না। উনি যা বলেন, তা সত্যি বলেন কিনা সন্দেহ। প্রধানমন্ত্রী এখনও কিছু বলেননি। 'দিলীপ আরও বলেন,' তাও বলব, যদি প্রধানমন্ত্রী আসেন তাহলে রাজ্য়ের পক্ষে ভালো। মমতার এটাই দশ বছর আগে করা উচিত ছিল। তখন উনি বোঝেননি। মোদীজি-র ইমেজে গুজরাট আজ কী হয়ে গিয়েছে, সেটা হয়তো উনি ত্রিপুরা যাওয়ার পর বুঝেছেন। মোদী মানেই শিল্প আর উন্নয়ন। তাই মোদীকে আনতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এখন তৎপর হয়েছেন। যদি এটা হয়, তাহলে বাংলার ছেলেরা চাকরি পাবে। বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তবে আমি জানি না, এটা কতটা ঠিক। আপনাদের সামনে উনি এটার বলার জন্য বলেছেন।'
আরও পড়ুন, Kolkata Municipal Polls: ১৯ ডিসেম্বরই পুরভোট কলকাতায়, বিজ্ঞপ্তি জারি নির্বাচন কমিশনের
প্রসঙ্গত, বুধবার নয়া দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর এক মাস্টার স্ট্রোক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যা/। আসন্ন বেঙ্গল বিজনেস সামিটের উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের মমতা জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকবেই। কিন্তু, তার প্রভাব কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের উপর পড়া উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দুই সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকাটা দরকারি। আর সেই সম্পর্ককে মেরামত করতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দিক থেকে প্রথম পদক্ষেপটি নিলেন। রবিবার সন্ধ্যাতেই চারদিনের জন্য নয়াদিল্লি সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরে দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, মোদীর সঙ্গে বিএসএফ-এর নয়া আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁর। এই আইনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ত্রিপুরায় সন্ত্রাস, বাংলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাঠানোর ক্ষেত্রে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, সেইসব বিষয়েও কথা বলেন তাঁরা।