মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলে ও আলীপুর সেট্রাল জেলে মহাত্মা গান্ধীর ছবিতে মাল্যদান করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 'বাঁচবার জন্য গান্ধীজির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে বিজেপি', এদিন শুরুতেই গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগলেন কলকাতার মেয়র।
মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতেআলিপুর প্রেসিডেন্সি জেলে ও আলীপুর সেট্রাল জেলে মহাত্মা গান্ধীর ছবিতে মাল্যদান করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। 'বাঁচবার জন্য গান্ধীজির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে বিজেপি', এদিন শুরুতেই গেরুয়া শিবিরকে (BJP) তোপ দাগলেন কলকাতার মেয়র (Kolkata Meyor)। তবে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ভবিষ্যতবাণী করে বলছেন, 'দিলীপদা (Dilip Ghosh) দার্জিলিংয়ের থেকে আরেকটু উপরে গিয়ে সন্ন্যাস নেবে'। তবে রাজ্যপাল নিয়ে ভবিষ্যতবাণী না করলেও তাঁকে, 'দিল্লি বা রাজস্থান যেখানে ভাল লাগে' সেখানে চলে যেতে অনুরোধ জানালেন।
'পেগাসাস থেকে বাঁচবার জন্য গান্ধীজীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে বিজেপি'
এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আজ বিজেপির তরফ থেকে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিন পালন করা হচ্ছে। গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবস পালনের আগে বিজেপির উচিত নাথুরাম গডসেকে ধিক্কার জানানো। এই একই দল একদিকে নাথুরাম গডসে কে নিয়ে মন্দির তৈরি করল আবার পাশাপাশি গান্ধীজীর মৃত্যু দিবস পালন করা হচ্ছে ।আসলে পেগাসাস থেকে বাঁচবার চেষ্টা করছে বিজেপি। দেশের যেসব মানুষ ক্ষেপে রয়েছে বিজেপির উপর, তাঁদের হাত থেকে বাঁচবার জন্য গান্ধীজীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে।' উল্লেখ্য, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। এমনই অভিযোগই তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এদিন সেই পেগাসাস ইস্যুতেই ফের তোপ দাগলেন ফিরহাদ।
'দিল্লি বা রাজস্থান যেখানে ভাল লাগে সেখানে চলে যান রাজ্যপাল'
ইছাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু নিয়ে,তিনি বললেন, যখন বিজেপি মরে তখন বলে তৃণমূল মেরেছে। আর যখন তৃণমূল মরে তখন বলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আসলে মারপিট এগুলো বিজেপির ভাষা ।আমরা সংস্কৃতি কথা বলি ।একসঙ্গে থাকার কথা বলি।রবীন্দ্র-নজরুল নিয়ে আমরা বাংলায় ভালো আছি। রাজ্যপাল কমিটেড টু বিজেপি। আমি রাজ্যপালকে অনুরোধ করছি আপনাকে আর এই রাজ্যে থাকতে হবে না। আপনি মুক্তি পান ।আপনি দিল্লি বা রাজস্থান যেখানে ভাল লাগে সেখানে চলে যান। আমরা বাংলার মানুষ ভালো আছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকে ভালো রেখেছে। মানুষের সমর্থন নিয়েই এত আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। রাজ্যপাল যদি ভাবে বাংলার মানুষের থেকে বেশি জ্ঞানী তাহলে মূর্খের রাজ্যে বাস করছেন। আপনার যদি মনে হয় আপনি বাংলা ছেড়ে যেতে পারেন।'
আরও পড়ুন, Madan Mitra: 'জাতীয় ফুল পদ্মকে অবমাননা মদনের', রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করল BJP
'দিলীপদা দার্জিলিংয়ের থেকে আরেকটু উপরে গিয়ে সন্ন্যাস নেবে'
রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়ে ফিরহাদ আরও বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কাছে জবাবদিহি করে ।মানুষের সমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীর হয়েছে । তার সঙ্গে মানুষ আছে । রাজ্যপালকে বলবো আপনি তো বাংলা সমস্যাটাই জানেন না ,আপনার সঙ্গে কী আলোচনা করব।আপনি বিজেপি তাবেদারী করছেন ,তাবেদারী হন। কিন্তু দয়া করে রাজ্যপালের আসনটাকে আর কলঙ্কিত করবেন না। পশ্চিমবঙ্গে মানুষ ভালো আছে কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো আছে। আমরা মানুষ দেখি।' তবে এদিন কলকাতার মেয়র রাজ্যপালের সঙ্গে তোপ দাগতে বাদ দেননি দিলীপকেও। এদিন ফিরহাদ বলেন, ' দিলীপ ঘোষ কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।দিলীপ ঘোষের দল ভেঙে যাচ্ছে। আমি ভবিষ্যৎ বাণী করছি, দিলীপদা দার্জিলিংয়ের থেকে আরেকটু উপরে গিয়ে সন্ন্য়াস নেবে।'
'বিকাশ মিশ্রকে এমনিতে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছে'
কয়লাপাচারকাণ্ডের ইস্যুতে 'বিকাশ মিশ্রকে এমনিতে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছে', শুভেন্দুর এই বক্তব্যে ফিরহাদ হাকিম বললেন, যা করবে, বিচার ব্যবস্থা করবে। আমরা পলিটিশিয়ানদের একটা লিমিটেশন এর মধ্যে থাকা উচিত। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি করছে, মানে যদি মনে করেন ওনার হাতে সমস্ত ক্ষমতা, সেটা ভুল। বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারকাণ্ডে সিবিআই-র হাতে এসেও যেনও অধরা বিকাশ মিশ্র। কারণ অসুস্থতার কারণে সে হাসপাতালে ভর্তি। আর তাই চেয়েও কিছু করতে পারছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এখানেই রাজ্যকে উদ্দেশ্য করে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। এই মুহূর্তে কয়লাপাচার কাণ্ডে ধৃত অসুস্থ বিকাশ মিশ্রের আবেদন খারিজ করে সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল সিবিআই আদালত।