সংক্ষিপ্ত

ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় অর্জুন ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা গ্রেফতার হতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন এদিন দিলীপ ঘোষ।'ব্যারাকপুরে বোম পড়লে, খুন হলেই অর্জুন সিংহের নাম ওঠে, ওর কি এজেন্সি আছে', রবিবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি।

 

 

ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় অর্জুন ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা গ্রেফতার হতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন এদিন দিলীপ ঘোষ।'ব্যারাকপুরে বোম পড়লে, খুন হলেই অর্জুন সিংহের নাম ওঠে, ওর কি এজেন্সি আছে', রবিবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

উল্লেখ্য, ব্যারাকপুরে একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটেই চলেছে। পর ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুন, হালিশহরে বোমাবাজি, ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুন, একের পর এক ঘটনায় নাম উঠে এসেছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের। এবং কম-বেশি প্রতিটি ঘটনাতেই অর্জুন ঘনিষ্ঠ বলে কাউকে না কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু মাস আগেই সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতেই বোমাবাজি হয়েছিল। তবে এবার  অর্জুন সিংহের পাশে দাঁড়ালেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, 'অর্জুন সিংহ কোনও এজেন্সি চালান না, যে ব্যারাকপুরে খুন হলে কিংবা বোমাবাজি হলে তাঁর নাম জড়াতে হবে। বরং পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক', বলেই দাবি দিলীপের।

 আরও পড়ুন, তৃণমূলের যুবরাজের ফ্লেক্স টাঙাতে গিয়ে কি শ্রমিকের মৃত্যু, মুখে কুলুপ কেন পুলিশের, প্রশ্ন টুইটারে

প্রসঙ্গত, ইছাপুরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ফের অর্জুন ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা বিজয় মুখোপাধ্যায়। শনিবার উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শিপ্রা মজুমদারের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা গোপাল মজুমদার ওরফে সুশান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং  মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতিরা বলে অনুমান পুলিশের।  ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। তড়িঘটি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ওই তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।  এই ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সিপি মনোজ ভার্মা। এরপর গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় তৃণমূল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নোয়াপাড়ায় বিজয় মুখোপাধ্যাায়ের সঙ্গে সুশান্তর গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই সময় বিজয় তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগও করেছেন ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে বিজয়কে আটক করে পুলিশ। এরপরে রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। ধৃত ওই ব্যক্তি অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে।