শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কুণাল বলেন রাজ্যের প্রচুর বকেয়া পাওয়া পড়েরয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সেগুলি কিছুতেই দিচ্ছে না কেন্দ্র। কিন্তু তার সঙ্গে পুজো অনুদানের কোনও সম্পর্ক নেই
পুজো অনুদান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়ে দিলেন দলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কুণাল বলেন রাজ্যের প্রচুর বকেয়া পাওয়া পড়েরয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সেগুলি কিছুতেই দিচ্ছে না কেন্দ্র। কিন্তু তার সঙ্গে পুজো অনুদানের কোনও সম্পর্ক নেই।
কুণাল আরও বলেন পুজো একটা অর্থনীতি। এর সঙ্গে রাজ্যের তথা দেশের অনেক মানুষের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, হিন্দু মতে পুজো হয়। কিন্তু ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও উপকৃত হন পুজোর সময়। পুজোয় অর্থ সমবরাহ ঠিক থাকলে অনেকেই আর্থিক সংস্থান হয়। তাই পুজো অনুদানের সঙ্গে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এক করে দেখা ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই সিদ্ধান্তের পাশে পুরো দল রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুণাল।
কুণাল বলেন, 'পুজো কমিটিগুলি টাকা বেশি খরচ হলে প্রচুর গরীব মানুষের হাতে টাকা পৌঁছাবে।' কুণালের কথায় পুজো একটা হৃৎপিণ্ডের মত । যার শিরা উপশিরা বা ধমনী দিয়ে বাংলার গ্রামে গ্রামে একটা অর্থনৈতিক ইতিবাচক স্রোত চলছে। তিনি আরও বলেন পুজো একটা অর্থনীতি। এর সঙ্গে বহু গ্রামের মানুষ জড়িয়ে রয়েছে।
বিজেপির ইজেডসিসি-র দুর্গাপুজো নিয়েও এদিন মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন বিজেপির দুর্গাপুজো। কিন্তু ব্যবহার করা হয় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের সভাঘর। তাঁর প্রশ্ন, 'হল ভাড়া করে কেন দুর্গাপুজো হবে? দুর্গাপুজো তো আর বিয়ে বাড়ি নয়!' কুণাল ঘোষ রাজ্য বিজেপির নেতাদের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বিজেপি নেতারা এতটাই জনবিচ্ছিন্ন যে তাঁরা পাড়ার পুজোতেও সামিল হতে পারে না। আর সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান নিয়ে পুজো করতে হয়।
বিজেপির পুজো হিসেবে প্রচার চালান হয়েছিল ইজেডসিসি-র পুজোকে। কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ উঠেছে এই পুজোয় কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আর হল ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন বিজেপির পুজো কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা খরচ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি বলেন, এই ঘটনার তদন্তেরও দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সোমবার বিকেলে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেছেন, বিদ্যুতের বিলেও ছাড় দেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা ও স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডকেও অনুরোধ করা হয়েছে, পুজো কমিটিগুলিকে যেন বিদ্যুতের বিলের ওপর ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।
এবার নজরে রাজ্যের সমবায় ব্যাংকের নিয়োগ দুর্নীতি, নাম জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের
উৎসব নয়, উদযাপনের রীতি মানতেই এবছর বিজেপির শেষ দুর্গাপুজো?
বিএসএফ সীমান্তে ধর্ষণের মত আপরাধমূলক কাজে লিপ্ত, বাগদা ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের