সংক্ষিপ্ত
সিবিআই নিয়ে মন্তব্য করে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, নিজের দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব
সিবিআই নিয়ে মন্তব্য করে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, নিজের দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দিলীপের মন্তব্য নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই তালিকায় রয়েছে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা।
রবিবার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে কার্যত সিবিআইকেই একহাতে নেন। তিনি বলেন, 'সিবিআই-এর কর্তাদের একাংশের সঙ্গে সেটিং করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। আর সেই কারণেই সিবিআই নয় আনা হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে।' দিলীপ ঘোষণের এই মন্তব্য অনেকটা সিপিএম বা বাম দলগুলির মত। কারণ বিরোধীদের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে 'সেটিং' করেছেন। যাইহোক সিবিআই স্বতন্ত্র কেন্দ্রীয় সংস্থা হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পার্সোনেল (কর্মিবর্গ) মন্ত্রকের অধীনে। সিবিআই- প্রধান নিয়োগেও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ভূমিকা থাকে। অন্যদিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে। এই কেন্দ্রীয় সংস্থার কাজের প্রশাংসা করেছেন বিজেপি নেতা। যা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
বিজেপি সূত্রের খবর দিলীপ ঘোষ কী বলেছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডারা। তবে দুজনেই এই বিষয় নিয়ে রাজ্য বিজেপির কাছ থেকে আলাদা আলাদা করে রিপের্ট তলব করেছেন। তবে এই বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে কিছু জানান হয়েছে কিনা তা এখনও রাজ্য বিজেপি সূত্রে স্পষ্ট নয়।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ জানিয়েছেন, অতীতেও দিলীষ ঘোষ একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। যা নিয়ে তাঁকে সাবধান করা হয়েছিল। একাধিকরা চিঠি লিখেও সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নিজেকে শুধরে নেননি দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে বিজেপি এক নেতার মনে করেন, রবিবারের পর শনিবারেও একই মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু রবিবারে দিলীপের মন্তব্য ছিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে। সরকারি অনুষ্ঠানে সিবিআই-কে তুলোধনা করে ইডির প্রশংসা করা - এই বিষয়টিকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ভালভাবে নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর দলের অনেক নেতাই মনে করছে দিলীপের সিবিআই নিয়ে মন্তব্য শুধু বিজেপিকে নয়, কেন্দ্রীয় সরকারকেও অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। আর সেই কারণেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে রিপোর্ট তলব করেছে।
বিজেপি সূত্রের খবর- এই সেটিং বর্তমানে একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে । যা নিয়ে কংগ্রেস বা বাম দলগুলি নিশানা করে বিজেপিকে। যা নিয়ে বিজেপি নেতাদের উত্তর দিতে হয়। তাই বিজেপির প্রবীণ নেতা হয়ও দিলীপ ঘোষ কী করে এজাতীয় মন্তব্য করলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কোচিংসেন্টারেই আড়ালেই কি ছিল জঙ্গি তৈরির কারখানা? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের নিয়ে তল্লাশি
আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ভারতীয় নেতাকে উড়িয়ে দেওয়ার ছক ISIS-র, জানাল রাশিয়ায় গ্রেফতার জঙ্গি
মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়, সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া