Tripura: 'এটা অধিকার বুঝে নেওয়ার লড়াই, এত সহজে দমানো যাবে না ', BJP-কে তোপ সায়নীর

'আমাদের লড়াই এত সহজে দমিয়ে দেওয়া যায় না', গ্রেফতার হবার পর জামিন পেয়ে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যে ফিরতেই বিপ্লব দেবের সরকারকে একহাত নিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্যসভা নেত্রী সায়নী ঘোষ।  রাত পেরোলেই ত্রিপুরায় পুরভোট, আর তার আগেই তোপ দাগলেন সায়নী।

 

Asianet News Bangla | Published : Nov 24, 2021 12:22 PM IST

'আমাদের লড়াই এত সহজে দমিয়ে দেওয়া যায় না', গ্রেফতার (Arrest) হবার পর জামিন পেয়ে ত্রিপুরা (Tripura) থেকে রাজ্যে ফিরতেই বিপ্লব দেবের সরকারকে একহাত নিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্যসভা নেত্রী সায়নী ঘোষ।  রাত পেরোলেই ত্রিপুরায় পুরভোট। আর তার আগেই তোপ দাগলেন সায়নী (TMC Leader Saayoni Ghosh)।

সায়নী ঘোষ বলেছেন, আমরা মশাল ধরেছি শুধু। অগণতান্ত্রিকভাবে মা-মাটি-মানুষের উপর আঘাত আনতে চেয়েছিল যারা, তারা আসলে বোঝেনি, আমাদের লড়াই এত সহজে,দমিয়ে দেওয়া যায়না। যায়নি অতীতে, যাবেনা ভবিষ্যতেও। যুব তৃণমূলের রাজ্যসভা নেত্রী সায়নী ঘোষ মঙ্গলবার রাতে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যে ফিরেছেন। তিনি বলেছেন, ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। সেখানে কোনও মানুষই নিরাপদে নেই। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তিতি বিরক্ত ত্রিপুরাবাসী বিপ্লবদেবের সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে। তিনি বাংলায় ফিরে আরও বলেছেন, সকলের প্রার্থনায়, ভালবাসায় আজ আরও এগিয়ে যাওয়ার সাহস পেলেম, এটুকু বলতে পারি। ধন্যবাদ জানাই সেই সকল মানুষকে, যারা বিজেপির অত্যাচারে আহত হয়েও হার মেনে নেননি। পাশাপাশি তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। সঙ্গে বলেছেন, তাঁদের সহযোগিতা আমার এগিয়ে চলার সাহস। 

আরও পড়ুন, Polls: 'বেহালার একই ব্যাক্তি দুই ওয়ার্ডের ভোটার', তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কমিশনে BJP

 আরও পড়ুন, SSC Group D case: গ্রুপ ডি মামলায় CBI অনুসন্ধানের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। গাড়িতে পিছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং সুদীপ রাহা। গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ার সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন আশেপাশের লোকেরা। খেলা হবে স্লোগানও দিতে থাকেন। পুলিশের তরফে অভিযোগ, ঠিক তখনই নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন। সেই সূত্র ধরেই রবিবার তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। প্রথমে সকালে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং দুপুরে সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। সায়নীর অভিযোগ, তাঁকে শারীরিকভাবেও হেনস্থা করা হয়েছে। থানার মধ্যেই যেভাবে হামলা চালান হয়েছে তাতে তিনি রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন থানায় হামলা পরই তাঁকে অন্য একটি থানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁকে আগরতলা আদালতে পেশ করা হয়। সায়নীকে আরও জেরার জন্য দুদিনের হেফাজতে চেয়েছিল ত্রিপুরার পুলিশ। কিন্তু শুনানির পর সেই পুলিশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সায়নীকে জামিনে মুক্তি দেয় আদালত। সায়নীকে থানায় জিজ্ঞাবাদের জন্য ডাকার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরার রাজনীতি। যার প্রভাব দিল্লিতেও পড়েছিল। 

 

Read more Articles on
Share this article
click me!