সংক্ষিপ্ত

গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের স্থগিতাদেশে স্বস্তি ফিরল কমিশনে।  এসএসসি গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে  ডিভিশন বেঞ্চ।  

গ্রুপ ডি মামলায় (SSC Group D case) সিবিআই অনুসন্ধানের স্থগিতাদেশে (Stay order on CBI enquary) স্বস্তি ফিরল কমিশনে (SSC)।  এসএসসি গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্য়ান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল  স্কুল সার্ভিস কমিশন ( SSC Goup d Recruitment)। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানে স্থগিতাদেশ দিল কোর্ট। ফের আগামী সোমবার এই মামলার (SSC Group D case)শুনানি থাকছে।

প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ২৫ জনের নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এই মামলার সূত্রপাত হয়েছে। কমিশন আদালতে জানিয়েছিল, তাঁরা ওই ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ করেনি। তাহলে কীভাবে এই নিয়োগ সুপারিশ ছাড়া করা হয়েছে। কীভাবে ওই ২৫ জন দুই বছর ধরে চাকরি করছে, প্রশ্ন উঠে এসেছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করেছিল সিবিআই। এরই মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চের কাছে দ্বারস্থ হয় কমিশন।

আরও পড়ুন, Oil Price Today: পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমল কি কলকাতায়, জানুন দেশের কোন শহরে কত দাম জ্বালানির

প্রসঙ্গত, এসএসএসি গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল চাকরি প্রার্থীরা। নেমেছিল রাজপথেও। যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপও ক্রমেই বাড়ছিল। এমতাবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের সোমবারের রায় যে রাজ্য সরকারের স্নায়ুর চাপ অনেকাটাই বাড়িয়ে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনা চিন্তা যে রাজ্যের শিক্ষা দফতর শুরু করে দিয়েছে তা সোমবারই স্পষ্ট হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দেয় এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ 

আরও পড়ুন, Weather Report: আগামী ২-৩ দিনে ৪ ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা, কবে ফিরছে শীতের আমেজ রাজ্যে

উল্লেখ্য, প্রথমে পঁচিশটি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মামলাকারীদের তরফে হলফনামার সঙ্গে হাইকোর্টে জমা করা হয়েছিল।পরবর্তীতে আরও ৫২৫টি নিয়োগকে ভুয়ো বলে দাবি করা হয়। তা নিয়েও একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাইকোর্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সফট কপি জমা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় পেন ড্রাইভও। যদিও এসএসএসি-র দাবি এখানে কোনও নিয়োগই কোনো সুপারিশের ভিত্তিতে হয়নি। যা হয়েছে সবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। যদিও তা মানতে নারাজ চাকরি প্রার্থীরা। গ্রুপ ডি নিয়োগে সরকারি পদক্ষেপ নিয়েও একধিক প্রশ্ন তোলা হয় , করা হয় তিরষ্কারও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধায়ের স্পষ্ট প্রশ্ন কমিশনের সুপারিশ যদি নাই থাকে, তবে নিয়োগে কার অদৃশ্য হাত রয়েছে এবং কার সুপারিশে ২৫ জন চাকরি পেলেন, সেদিকে দুবছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে এই নিয়োগ হয়ে গিয়েছে।

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়