অধীরের খাসতালুকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, কোন্দল মেটাতে মাঠে প্রশান্ত কিশোর

  • পুরভোটে জমে উঠেছে অধীরের খাসতালুক বহরমপুর
  • মুর্শিদাবাদে জমি পেতে ময়দানে নেমেছে প্রশান্ত কিশোর
  •  বহরমপুর পুরসভাকে ঘিরে দলের কোন্দল ঘিরে চিন্তায় মমতা
  • ভোট বাক্সে কোন্দলের বিরূপ প্রতিক্রিয়া রুখতে ময়দানে হাজির পিকে

Asianet News Bangla | Published : Mar 8, 2020 12:46 PM IST / Updated: Mar 08 2020, 06:19 PM IST

পুরভোটে জমে উঠেছে অধীরের খাসতালুক বহরমপুর দখলের লড়াই। মুর্শিদাবাদে জমি পেতে ময়দানে নামানো হয়েছে খোদ তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে। বহরমপুর পুরসভাকে ঘিরে প্রাক্তন পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বনাম বিরোধী শিবিরের লড়াই নিয়ে চিন্তিত দল। ভোট বাক্সে কোন্দলের বিরূপ প্রতিক্রিয়া রুখতে ময়দানে হাজির মমতার দূত পিকে।

রাজ্যসভায় তৃণমূলের ৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা, সুব্রত বক্সি, দীনেশ ত্রিবেদী, মৌসম নুর ও অর্পিতা ঘোষ

সেইমতো দফায় দফায় প্রশান্ত কিশোরের টিম বহরমপুরে এসে তৃণমূলের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলাদা করে বৈঠক করছেন। এই বৈঠককে ঘিরে দেখা দিচ্ছে নয়া জটিলতা।কারণ এই বিশেষ বৈঠকে তৃণমূলের ছোট-বড়-মাঝারি বিভিন্ন মাপের নেতাদের ডাকা হলেও সেখানে ডাকা হচ্ছে না নীলরতন আঢ্যকে। এ নিয়ে নিজের চাপা ক্ষোভ উগড়ে দেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন,আমি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ রয়েছি। তবে দলের তরফে প্রশান্ত কিশোরের কোনও বৈঠকের খবর আমার কাছে নেই"।

দোলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়, বাড়তে পারে শহরের তাপমাত্রা

পাল্টা এ ব্যাপারে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন," সেই ভাবে কোনও বৈঠকে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর নীলরতনবাবু সম্প্রতি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে"।বহরমপুর পুরসভার ১৮ বছরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্যকে লোকসভা ভোটের পর থেকে দলের কোনও সভায় দেখা যায়নি। পুরভোটের আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করতেও দেখা যাচ্ছে না বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। 

ইতিহাসের কলঙ্ক,'বাংলার গর্ব মমতা' নিয়ে মুখ খুললেন বিকাশ

এমনকী সাম্প্রতিক অতীতে দলীয়  কার্যালয় থেকে মাঠে ঘাটের কোনও সভা সমিতিতে তাকে দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, দলের শহর সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বাগবিতণ্ডা দল তো বটেই শহরের মানুষের কাছেও অজানা নয়। তারই কী পরিণতি এই যাবতীয় ঘটনা। উত্তর জানতে মুখিয়ে রয়েছে জেলাবাসী। অবশ্যই এই বিষয়ে  নীলরতনবাবু জানান, নেতৃত্ব আমার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করেনি। আমি অসম্মানিত হয়েছি। দলের শহর সভাপতি ইদানিং যে ভাবে আমাকে আক্রমণ করেছেন তার কোনও সমাধান জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে পাইনি"। 

জানা গিয়েছে,২০১৭ সালের মাঝামাঝি কংগ্রেস তথা অধীরের সঙ্গ ছেড়ে  তৃণমুলে এসেছিলেন নীলরতন। তাঁর হাত ধরেই বহরমপুর পুরসভা কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূলে উল্টে যাওয়া। তা হলে কি আবার নতুন করে দল ছাড়তে চলেছেন নীলরতন বাবু।সে বিষয়ে কোনও পরিষ্কার কথা না বললেও তিনি পুরভোটে যে লড়বেন সে কথা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তার সাফ কথা," এত সহজে ভোটের ময়দান ছেড়ে আমি সরে দাঁড়াচ্ছে না"।তাহলে কি শেষ পর্যন্ত তৃণমূল থেকে সরিয়ে ফেলা হলে তিনি প্রয়োজনে দলের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে দাঁড়াতে পারেন,সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি।

Share this article
click me!