সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অপসারণের দাবিতে সোমবার রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দু শেখর রায়ের নের্তৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে। তুষার মেহতা ইস্যু ছাড়াও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়েও রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানাতে পারে তৃণমূল নের্তৃত্ব।
আরও পড়ুন, 'পরিণাম তো ওদেরকেই ভুগতে হবে', BJP-র পুরসভা অভিযানের সকালে বিস্ফোরক দিলীপ
তুষার মেহতা ইস্যুতে চাপ বাড়াতে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে, তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তিন সাংসদ ডেরেক'ও ব্রায়ান, সুখেন্দু শেখর রায় এবং মহুয়া মিত্র চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। মূলত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সলিসিটর জেনারেলের বাসভবনে যাওয়ার পর থেকেই তুষার মেহতার অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। নারদ মামলায় শুভেন্দুর নাম জড়িয়ে রয়েছে। সিবিআই এই মামলায় তদন্তাকারী সংস্থা। তুষার মেহতা এই মামলায় সিবিআই-র হয়ে সওয়াল করেছেন। সেই তুষার মেহতার বাসভবনে শুভেন্দু কী করতে গিয়েছিলেন এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন, কামারহাটির পার্টি অফিসে ঢুকে TMC কর্মীদের উপর বেপরোয়া গুলি, পাল্টা মদনকেই নিশানা দিলীপের
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর দেখা করার কোনও প্রশ্নই আসে না বলে দাবি করেছেন তুষার মেহতা। তবে শুভেন্দু অধিকারী যে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁর বাসভবন তথা কার্যালয়ে এসেছিলেন, সেই কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। তুষার মেহেতার দাবি, শুভেন্দু যখন এসেছিলেন, সেই সময় তিনি নিজের কক্ষে এক পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর কর্মচারীরা শুভেন্দুকে তাঁর কার্যালয়ের ওয়েটিং রুমে বসান এবং তাঁকে এক কাপ চা দিয়েছিলেন। বৈঠকের পর আবার তুষার মেহতা জানতে পেরেছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব আসবেন কোনও জরুরি কাজ নিয়ে। তাই শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না বলে কর্মীদের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষ অবধি এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পর তুষার মেহতা ইস্যু কোন দিকে মোড় নেয়, তা শুধু সময়েরই অপেক্ষা।