পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে বিজেপির মধ্যে ততই অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। এতদিন দলীয় কর্মী নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলেও এবার রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্তরে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপি যুব মোর্চার জোন ভিত্তিক পদাধিকার নিয়োগ নিয়ে সংঘাতে জড়ালেন সৌমিত্র খাঁ ও দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে পাশাপাশি ফিরহাদ-অশোক, 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়', কটাক্ষ দিলীপের
বেশ কয়েকদিন আগে জেলা সভাপতি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবার যুব মোর্চার জোন ভিত্তিক পদাধিকার নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ালেই যুযুধান দুই পক্ষ। পাঁচটি সাংগঠনিক জোনের পর্যবেক্ষক হিসেবে যাঁদের নিয়োগ করেছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি। সেই নামের তালিকা সিলমোহল দিলেন না রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যুব সংগঠনের জোনগুলি কারা কারা পাবেন, তা ডিসেম্বরের শেষের দিকে জানানো হবে বলে সৌমিত্রকে জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ায় কি মাওবাদী গতিবধি বাড়ছে, আবারও হুমকি পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়
জেলা সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দিলীপ-সৌমিত্রর মধ্যে সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল কয়েক দিন আগেই। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা না বলেই বেশ কয়েকটি জেলার নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তা নিয়ে জেলার সাংগঠনিক স্তরে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। জেলা নেতৃত্বের মতামত অগ্রাহ্য করে সৌমিত্র খাঁ নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল। এর জেরে দুই জনের বিবাদ তীব্র আকার ধারণ করে। সৌমিত্র তৈরি করা সব জেলা কমিটি ভেঙে দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার যুব মোর্চার জোন ভিত্তিক পদাধিকার নিয়োগ সংক্রান্ত সৌমিত্র বাছাই করা তালিকাতেও সম্মতি দিলেন না দিলীপ ঘোষ। শুধুমাত্র, কলকাতা জোনে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।