একবালপুরে তরুণী খুনের কাণ্ডে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নয়নী খুনের ঘটনায় মহম্মদ সাজিত হোসেন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার ভোর রাতে মিশন রোডে এবং ডক্টর সুধীর বসু রোডের কাছে সাজিদকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন, 'আশা করি ২০২১-র লড়াইয়ে আমরা শোভনদাকে পাব', গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার আভাষ দিলেন দিলীপ
ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও এসে গিয়েছে
প্রসঙ্গত, একবালপুরে এমএম আলী রোডে সিমেন্টের বস্তা থেকে নয়নার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রে খবর, বছর কুড়ির নয়নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্য়েই এলাকায় তদন্তে লালবাজার হোমিসাইড শাখা এবং সঙ্গে এসেছে স্নিফার ডগ। যেখানে দেহ পড়েছিল, সেই অংশটা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। লালবাজার ও একবালপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই এলাকার লোককে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো শুরু করেছে। কীকরে এত মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল সদ্য ২০ বছরে পা দেওয়া নয়না সঙ্গে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে অবাক করা তথ্য, বুধবার যখন তাঁর দেহ পাওয়া যায়, তখন মৃত নয়নার পকেট থেকে মাদক পাওয়া গিয়েছিল বলে অভিযোগ।ওই তরুণীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও এসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, রবিবার এক ঝটকায় পারদ নামল শহরে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৪ ডিগ্রি নীচে
পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল খুনের সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িয়ে আছে
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাস রোধ করেই খুন করা হয় তরুণীকে। কিন্তু খুন করার পর কে বা কারা বস্তাবন্দি দেহ ফুটপাথে ফেলে গেল, তা নিয়ে তদন্ত চালায় পুলিশ। ওই এলকার সিসি ক্য়ামেরা খারাপ থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তদন্তকারীদের। পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল খুনের সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িয়ে আছে। এরপরেই সাজিদ ও ইমরান নামে দুই যুবককে ধরে জেরা করতেই, সাজিদ জেরায় খুনের কথা শিকার করে। এদিকে বছর কুড়ির নয়না সদ্যই রিহ্যাব থেকে ফিরে এসেছিল। খুব ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছে সুনয়না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ সবদিন করত নয়। কেউ কটুক্তি করলেও স্কুটি থেকে নেমে মারপিট শুরু করে দিত। তবে এখানে আরও একটা প্রশ্ন উঠেছে তাঁর মৃত্যুর পিছনে মাদকচক্র নাকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা নাকি পরকীয়া , কোনটা নয়নার জন্য কাল হল, খতিয়ে দেখছে লালবাজার শাখা। তবে কীভাবে খুন করল, এখনও তা জানা যায়নি।