বাংলায় আসামী ধরতে এসে আক্রান্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, তীব্র চাঞ্চল্য প্রশাসনিক মহলে

সোনারপুরে আসামী ধরতে এসে আক্রান্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। হামলা চালানো হয় ঘটনাস্থলে থাকা সোনারপুর থানার পুলিশ কর্মীদের উপরেও।

Jaydeep Das | Published : Feb 25, 2022 5:38 PM IST / Updated: Feb 26 2022, 12:34 AM IST

অপরাধী ধরতে এসে বাংলায় আক্রান্ত ভিন রাজ্যের পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে একাধিক ঘটনায় প্রায়শই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে তদন্তের স্বার্থে যেতে হয় পুলিশকে। সব রাজ্যের পুলিশই এই ক্ষেত্রে একে অপরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তাই বলে একেবারে পুলিশের উপর আক্রমণ? শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি এটাই ঘটেছে বাংলার বুকে। সম্প্রতি সোনারপুরে আসামী ধরতে এসে আক্রান্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। হামলা চালানো হয় ঘটনাস্থলে থাকা সোনারপুর থানার পুলিশ কর্মীদের উপরেও। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

সূত্রের খবর, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। ২০২১ সালের ১৭ই জুলাই কমলানগর পুলিশ ষ্টেশন এলাকায় সোনা বন্ধক রেখে লোন প্রদানকারী সংস্থার অফিস থেকে ১৯ কেজি সোনা লুঠের সাথে যুক্ত ছিল দুই ভাই নরেন্দ্র যাদব ও অরুন যাদব। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল তারা। মাস চারেক আগে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি ভাড়া নেয় তারা। তাদের সাথেই থাকত তাদের মা রাজকুমারী যাদব (৬৫)। সোনারপুর থানার পুলিশকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে গেলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। ধৃতদের নামে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন থানায় ৩০টির মত লুঠ, খুন, গুলি চালানোর মামলা আছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সুত্রে। এদের কাছ থেকে সাড়ে তিনকেজি সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দেয় বারুইপুর আদালত। 

আরও পড়ুন- পুরভোটের আবহে তপ্ত বাংলার মাটি, শেষ দিনের প্রচারে বড় চমক একাধিক জেলায়

আরও পড়ুন- ভোর রাতে হঠাৎ শুরু বোমাবর্ষণ, প্রাণ বাঁচাতে হোস্টেলের বাঙ্কারে আশ্রয় হাওড়ার ডাক্তারি পড়ুয়ার

এদিকে এর আগে একাধিক তদন্তের স্বার্থে বাংলায় ঢুঁ মেরেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এমনকী কলকাতা পুরভোটের আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্ত নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় শহরে।ওই সময় বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার হলেন ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। অভিযোগ, গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তিদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না। যা নিয়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফোনে লোকেশন ট্র্যাক করেই আনন্দপুরের ওই বিল্ডিংটির খোঁজ পায় পুলিশ। তারপরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় লালবাজারে। তারপরেই পশ্তিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আনন্দপুরে হানা দেয় গুন্ডা দমন শাখার পুলিশ অফিসাররা।

Share this article
click me!