সংক্ষিপ্ত

ভোর রাতে হঠাৎ হোস্টের পাশে শুরু বোমাবর্ষণ। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকশো পড়ুয়া সঙ্গে ন'তলা হোস্টেলের নিচের বাঙ্কারে আশ্রয় নেয়। তাদের মধ্যেই ছিলেন হাওড়ার ইছাপুর শিয়ালডাঙ্গার ছাত্রী দেবারতি দাস।

রণডঙ্কা বেজেছে ইউক্রেনে। ভারতীয় সময় বৃহঃষ্পতিবার ভোর রাতেই ইউক্রেনের সাথে খাতায় কলমে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে রাশিয়া। যার হাত ধরে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধেরও জোরদার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এদিকে এই আশঙ্কার আবহেও ভারত এমনকী বাংলাতে ক্রমাণ্বয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। এদিকে প্রতিবছরই পড়াশোনার কারণেই বহু ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেনে গিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক্তারি পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তাদের বাড়ি ফেরা নিয়ে সবথেকে বেশি বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে এদিন ভোর রাতে হঠাৎ হোস্টের পাশে শুরু বোমাবর্ষণ। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকশো পড়ুয়া সঙ্গে ন'তলা হোস্টেলের নিচের বাঙ্কারে আশ্রয় নেয়। তাদের মধ্যেই ছিলেন হাওড়ার ইছাপুর শিয়ালডাঙ্গার ছাত্রী দেবারতি দাস(Debarati Das, a student of Ichapur Sealdanga, Howrah)।


সূত্রের খবর, ডাক্তারি পড়ার জন্য বছর দুয়েক আগে সে গিয়েছিল ইউক্রেনে। তবে গতকাল থেকে জীবন একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে তার ও তার সহপাঠীদের। বর্তমানে আতঙ্কে কাটছে প্রতি মুহূর্ত। মাটির নিচে একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে রয়েছেন তিনি ও তার সহপাঠীরা। অল্প কিছু খাদ্য সামগ্রী রয়েছে তাদের কাছে। বাঙ্কারের বাইরে বেরোনোর সাহস করছে না কেউই। কারণ ওপরে চলছে ক্রমাগত গুলি ও বোমা বর্ষণ। কিভাবে তারা দেশে ফিরবেন তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন সকলে। একই অবস্থা হাওড়া হাওড়া ইছাপুর শিয়ালডাঙ্গায় তার বাবা-মায়ের। মেয়ের চিন্তায় কার্যত ঘুম উড়েছে তাদের।

আরও পড়ুন, কখন কী খবর আসবে, ঘুম উড়েছে ইউক্রেন আটকে যাওয়া বাংলার ৩ ডাক্তারি পড়ুরার পরিবারের

আরও পড়ুন, শেষদিনের প্রচারে এসে আনিস হত্যাকাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া সুকান্তর, ইউক্রেনের ইস্যুতে কী বার্তা

মাঝে মাঝে মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হলে উৎকণ্ঠা কিছুটা কমলেও আতঙ্ক কিছুতেই কমছে না তাদের। এই পরিস্থিতিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারাদিন বসে রয়েছেন টিভির সামনে। কথা বলতে গেলে মাঝে মাঝেই ছল ছল করে উঠছে চোখ। মেয়েকে কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন তা নিয়ে দিশেহারা দাস পরিবার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে তাদের একটাই আবেদন যে কোন প্রকারে ফিরিয়ে আনা হোক সেখানে আটকে থাকা পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যেই  উঠে আসছে ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলার বহু পড়ুয়ার নাম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘীর খাঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা অর্ঘ্য মাঝি ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন ইউক্রেনে। কিন্তু সেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় যথেষ্ট চিন্তায় পড়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে একইঅবস্থা কাশিনগর গ্রামের বাসিন্দা অর্কপ্রভ বৈদ্য নামে আরও এক ডাক্তারি ছাত্রের। তিনিও আটকে রয়েছেন ইউক্রেনে। চিন্তায় তারাও পরিবার। 

আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের

আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার