১০৮ পুরসভা ভোটের গণনার তারিখ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা কমিশনের। পাশাপাশি, ১০৮ পুরসভায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় কিনা, জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
১০৮ পুরসভা ভোটের গণনার তারিখ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা কমিশনের (WB Election Commission) । ২ মার্চ ১০৮ পুরসভা ভোটের গণনা হবে। স্কুটিনির জন্য আরও একদিন বরাদ্দ। এদিন বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, ১০৮ পুরসভায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দেওয়া যায় কিনা, জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপির দায়ের করা মামলায় নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের।
এক্ষেত্রে যদি চার পুরসভার ভোটের কথা উল্লেখ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে ১২ ফেব্রুয়ারির পর ১৪ ফেব্রুয়ারি মাত্র একদিন পরেই গণনার দিন স্থির করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছিল, যেই রাতেই ভোট হল, সেই রাতেই মাত্র কয়েকঘন্টার মধ্য়েই স্কুটিনি সম্ভব। কারণ যদি পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজন থাকে। তাহলে সেটা একদিন পরেই করতে হবে। কোথাও হয়তো পুননির্বাচনের ভাবনা নেই। তাই কমিশন এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এমন অভিযোগও তুলেছিলেন বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের আগের দাবি মেনে স্কুটিনির জন্য একদিন বাড়ালো। অপরদিকে ১০৮ পুরসভায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় কিনা, জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপির দায়ের করা মামলায় নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের। একই সঙ্গে দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান প্রকল্প ওই পুর এলাকায় বন্ধ রাখা যায় কিনা, তাও রাজ্যকে জানাতে হবে। আগামী সোমবার হবে এই মামলার শুনানি। রাজ্য় নির্বাচন কমিশনকে হলফ নামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, 'দু'বছর বয়স থেকে শিলিগুড়ির মাসির বাড়িতে যাতায়াত', এখানেই শেষ লাইভ শো বাপ্পি লাহিড়ির
কলকাতা পুরভোটের মতো এবারেও ৪ পুরসভা ভোটের ক্ষেত্রেও সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, কলকাতা পুরভোটের সময়েও দেখা গিয়েছিল, একই ব্যাক্তি বুথের ভিতরে বারবার ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। কোনও কোনও বুথে ভোটারের সংখ্যার থেকেও বেশি ভোট জন্মেছে। অপরদিকে, এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সরব বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন,' এ রাজ্য়ে নির্বাচনের সময় বারবার আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছি। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট দিতে পারেন এই কারনেই চেয়েছিলাম। কিন্তু সকাল থেকেই দেখছি ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ছে। আমাদের প্রতিনিধি, সংবাদ মাধ্যম তাড়া করে জাল ভোটার ধরেছে। পুলিশের দেখা নেই। এই জন্যই বলছিলাম, রাজ্য পুলিশ থাকলে ভোট হবে না। পুলিশ তৃণমূল ক্যাডারের মতো কাজ করছে। এই ভোট মোটেই শান্তিপূর্ণ হচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো, আটকানো সবই চলছে।'